ডার্বিতে বিস্ফোরণের অপেক্ষায় দুই ‘জাপানি বোমা’
রিম বেঞ্চারিফা বনাম আর্মান্দো কোলাসোর যুদ্ধে এ বার বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন দুই ‘জাপানি বোমা’।
ওডাফা ওকোলিকে সচল রাখতে মরক্কান কোচের অস্ত্র ফুকুসিমার ইউসা কাতসুমি। আর গোয়া থেকে এসে মঙ্গলবারই ইস্টবেঙ্গল মাঠে পা দেওয়া আই লিগের সফলতম কোচের তূণেও আছেন এক জাপানিইমাকুচির রিউজি সুয়োকা। চিডি-মোগাদের সচল রাখতে যাঁর সাপ্লাই লাইন চাই-ই চাই কোলাসোর।
স্বদেশীয় বলে সুয়োকা এবং কাতসুমির মধ্যে বন্ধুত্ব আছে। রাস্তা-ঘাটে বা শপিং মলে দু’জনকেই দেখা যায় একসঙ্গে। কিন্তু মরসুমের প্রথম ডার্বির কথা তুললেই দু’জনের অবস্থান দুই মেরুতে। দু’জনেই জিততে চাইছেন। করতে চাইছেন গোলও।
মোহনবাগানের জাপানি মিডিও কাতসুমি এই প্রথম ডার্বি ম্যাচ খেলবেন কলকাতায়। স্বভাবতই তিনি উত্তেজিত। বলেও দিলেন, “আমার প্রথম ডার্বি। এই ম্যাচ সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছি। এ বার নিজে খেলার অভিজ্ঞতা হবে। এই ম্যাচ খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। ম্যাচটা জিততে চাই।”
ইস্টবেঙ্গলের মিডিও সুয়োকা অবশ্য ইতিমধ্যেই একটা ডার্বি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তবে সেটা অন্য জার্সিতে। সবুজ-মেরুন জার্সি পরে সেই ম্যাচে সেরাও হয়েছিলেন তিনি। ডার্বির উত্তেজনা, চাপ— সবটাই জানা সুয়োকার। সে জন্য আগে থেকেই মনকে শান্ত করে ২৪ নভেম্বরের ম্যাচকে পাখির চোখ করছেন। এ দিন জর্জ টেলিগ্রাফের ম্যাচ খেলে ওঠার পর আত্মবিশ্বাসী সুয়োকা বললেন, “ডার্বি খেলতে নামার আগে খুব বেশি মনোসংযোগ করতে হয়। কারণ এই ম্যাচে খেলতে নামার আগে ভয়ঙ্কর চাপ থাকে। সদস্য-সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ। আর সেটা কাটাতেই মনকে শান্ত রাখতে হয়।”
দুই প্রধানের দুই অস্ত্র: সুয়োকা ও কাতসুমি।
২০১০-এর ১৬ মে যুবভারতীতে ফিরতি আই লিগের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১-এ হারিয়েছিল মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের হয়ে গোল দু’টি করেছিলেন হোসে ব্যারেটো এবং স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কিন্তু সে দিন দু’টি গোলের পেছনে আসল কারিগর ছিলেন সুয়োকাই। ওই বছরই মাঝ-মরসুমে মোহনবাগানে সই করেছিলেন সুয়োকা। মাত্র একটি ডার্বি খেলতে পেরেছিলেন। সেই মরসুমেই আই লিগের প্রথম ডার্বিতে চিডির দাপটে ৫-৩-এ জিতেছিল করিম বেঞ্চারিফার মোহনবাগান। পুরনো স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সুয়োকা বলছিলেন, “সে বার যুবভারতীতে গোলটা ফেলে রেখে এসেছিলাম। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েও গোল না পাওয়ার আফসোস এখনও রয়েছে। এ বার সেই আফসোস মিটিয়ে নিতে হবে।”
কাতসুমি আবার ২৪ নভেম্বর গোল করে প্রথম ডার্বি ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে চাইছেন। “প্রথম ডার্বিতে গোল করে দিনটা স্পেশাল করে তুলতে চাই। অনেক দিন ভারতে খেলছি। শুনেছি ওই ম্যাচটায় গোল করে জেতাতে পারলে সদস্য-সমর্থকরা খুব খুশি হন।”
কিন্তু ধুন্ধুমার ডার্বিতে জিতবে কে? সুয়োকার উত্তর, “যে দল মাঝ-মাঠের দখল নিতে পারবে, ডার্বি জয়ের সম্ভাবনা তাদেরই বেশি। আর মাঝ-মাঠের দখল আমরা ছাড়ছি না। আমাদের মেহতাব, লোবো, ডিকারা আছে।” মাঠের বাইরের বন্ধুর কথা শুনে কাতসুমির হুঙ্কার, “ওডাফা যোগ দেওয়ায় দলের শক্তি বেড়েছে। আমাদের আটকানোও সহজ হবে না। জিতব আমরাই।”
তিন বছর আগে করিমের ‘অস্ত্র’ হয়ে ইস্টবেঙ্গল বধে প্রধান ভুমিকা নিয়েছিলেন সুয়োকা। এ বার অবশ্য বিপক্ষে করিম। জার্সি বদলে এই ম্যাচে কেমন খেলেন সুয়োকা তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে ময়দান। অনেকে আবার দেখতে চাইছেন, আকর্ষণীয় হেয়ারস্টাইলের কাতসুমি রবিবার করিমের স্ট্র্যাটেজিতে কী করেন?




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.