|
|
|
|
জলবিভাজিকা প্রকল্পের কাজ শুরু কেশিয়াড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
কেন্দ্রীয় জল-বিভাজিকা প্রকল্পে জলাধার তৈরি এবং তার মাধ্যমে পশুপালন ও খরিফ শস্য চাষ নিয়ে এক আলোচনাসভা হল মঙ্গলবার। কেশিয়াড়ি রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রকল্পের চেয়ারম্যান বিডিও অসীমকুমার নিয়োগী। উপস্থিত ছিলেন কৃষি দফতরের সহ-অধিকর্তা (মৃত্তিকা সমীক্ষা) দশরথ হেমব্রম, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সোমা দণ্ডপাট প্রমুখ। ব্লকের লালুয়া, কেশিয়াড়ি ও গগনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫২টি মৌজায় জল বিভাজিকা প্রকল্প চালু হচ্ছে। এ দিন প্রকল্প পরিচালনার জন্য কমিটিও গড়া হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই প্রথম এই প্রকল্পে ‘এক্সিকিউটিভ কমিটি’ গঠন করা হল।
লালুয়া, কেশিয়াড়ি ও গগনেশ্বর এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত শুষ্ক এলাকা। এখানে ক্ষুদ্র জল প্রকল্প গড়ে অথবা মজে যাওয়া জলাধার সংস্কার করে মৎস্য চাষ, পশুপালন ও খরিফ শস্য চাষে ব্যবহার করা হবে। একটি জলাধারে মৎস্যচাষ করে পার্শ্ববর্তী এলাকায় গম, তৈলবীজের মতো খরিফ শস্য, সব্জি চাষ করা হবে। এ জন্য প্রায় ৫৩৫২ হেক্টর জমি নির্ধারিত হয়েছে। প্রকল্পের কাজ করবে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে তৈরি ৭১টি স্ব-সহায়ক দল। এই দলের সদস্যদের অধিকাংশই চাষি।
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ইন্ট্রিগ্রেটেড ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট’ (আইডব্লিউএমপি)-এর সহায়তায় ও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই প্রকল্প রূপায়িত হবে। ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে টাকা পাবে স্ব-সহায়ক দলগুলি। স্ব-সহায়ক দলগুলিকে ১০ থেকে ২০ শতাংশ টাকা ব্যাঙ্কে জমা করতে হবে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এ দিন আলোচনাসভায় বিডিও অসীমবাবু বলেন, “৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শুকনো এলাকায় কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে চাষিরা উপকৃত হবেন।” |
|
|
|
|
|