|
|
|
|
সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
সিপিএমের এক যুব নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় চন্দ্রকোনা শহরে দেবদূত মণ্ডল নামে ওই সিপিএম নেতা প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর বুকে এবং দুই হাতে চোট লেগেছে। এই ঘটনায় সিপিএমের তরফে চন্দ্রকোনা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
সোমবার চন্দ্রকোনা শহরে সিপিএমের একটি মিছিল বেরিয়েছিল। মিছিলে দলের জেলা স্তরের নেতারাও ছিলেন। মিছিল পুর-এলাকা ঘুরে চন্দ্রকোনা-২ বিডিও অফিসের সামনে শেষ হয়। ব্লক অফিসে নারী নির্যাতন বন্ধ, পাট্টা পাওয়া জমির মালিকদের থেকে জমি কেড়ে নেওয়া আটকানো, দ্রব্যমূল্য রোধ-সহ নানা দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
সিপিএমের অভিযোগ, কর্মসূচি শেষে শহরের দক্ষিণবাজারে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন সিপিএমের চন্দ্রকোনা-২ জোনাল কমিটির সদস্য তথা ডিওয়াইএফের চন্দ্রকোনা জোনাল কমিটির সম্পাদক দেবদূত মণ্ডল। অভিযোগ, সেখান থেকেই তৃণমূলের লোকজন তাঁকে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় পার্টিঅফিসে। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য গুরুপদ দত্তের অভিযোগ, “তৃণমূলের লোকজন চা দোকান থেকে ওঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিসে আটকে রেখে মারধরকরে।”
পরে পুলিশ গিয়ে দেবদূতবাবুকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। জখম নেতাকে প্রথমে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, মিছিল শেষে তৃণমূলের লোকজন দলের নেতা-কর্মীদের শুধু মারধর করেনি, চন্দ্রকোনায় কোনও বিরোধী দল মিটিং-মিছিল করতে পারবে না বলে ফতোয়াও দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অমিতাভ কুশারীর জবাব, “বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নিচ্ছি।” |
|
|
|
|
|