শেষবেলার প্রচারে পরস্পরকে টেক্কা দেওয়ার লড়াই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আজ, বুধবার পুরভোটে প্রচারের শেষ দিন। তার আগে মঙ্গলবার শাসক-বিরোধী চাপানউতোর তুঙ্গে উঠল। কংগ্রেস বাংলায় একা চলার কথা দৃঢ় প্রত্যয়ে জানিয়ে দিল। আর তৃণমূল জানাল, আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা ঠিক করবে বাংলাই। জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষবেলার প্রচারে সামিল হয়েছে বামফ্রন্ট, বিজেপিও। এ দিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী পথসভা-মিছিল হয়। প্রচারে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, মানস ভুঁইয়া, অরুণাভ ঘোষ। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ মুকুল রায়, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রও প্রচারে নামেন। |
|
শহরের বার্জটাউনে বিজেপির মিছিল। |
পথসভায় তৃণমূলের সমালোচনা করে মানসবাবু বলেন, “যে দল (বিজেপি) রাম-রহিমকে আলাদা করে, সেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী হয়েছিলেন। আগামী দিনে যে তিনি ওদের কাছে আর যাবেন না, তার কোনও গ্যারান্টি আছে?” তাঁর কথায়, “আগামী দিনে দু’টো ছাতা থাকবে। একদিকে নরেন্দ্র মোদীর পদ্মফুল। অন্য দিকে, সোনিয়া গাঁধীর হাত। আপনারা সিদ্ধান্ত নিন, কোন ছাতার তলায় থাকবেন। মনে রাখবেন, শান্তির জন্য কংগ্রেস। সম্প্রীতির জন্য কংগ্রেস। উন্নয়নের জন্য কংগ্রেস।” |
|
স্টেশন রোডে সিপিএমের অটো-প্রচার। |
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্টেশন রোডে পদযাত্রা করে কংগ্রেস। পা মেলান প্রদেশ সভাপতি প্রদীপবাবু। পরে পথসভায় তিনি বলেন, “আগামী দিনে বাংলায় কংগ্রেস একাই চলবে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে। কারও হাত ধরবে না।” তাঁর কথায়, “কেন্দ্রের টাকা ফেরত যাচ্ছে। গরিব মানুষের পেটে লাথি মেরে গানবাজনা আমরা বরদাস্ত করব না। পুরভোটের লড়াইটা একা প্রার্থীর নয়। লড়াইটা দলের লড়াই।” |
|
পাঠান মহল্লায় সাংসদ মুকুল রায়ের সভা। |
তৃণমূল নেতা মুকুল রায় এ দিন শহরে কয়েকটি সভা করেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি, “আমরা জিতলে আধুনিক মেদিনীপুর গড়ব। নতুন পরিকল্পনা হবে।” কংগ্রেসকে বিঁধে তিনি বলেন “আমরাও কংগ্রেস করেছি। এখন তা বলতে লজ্জা করে। এমন চোরের দল আর দেখিনি।” মানুষের প্রতি তৃণমূল দায়বদ্ধ বলেও মনে করিয়ে দেন দলের এই শীর্ষ নেতা।
|
—নিজস্ব চিত্র। |
|