দুই বিধায়কের কাজিয়া মেটানোর চেষ্টা |
পড়ুয়ারা গরহাজির, ক্লাস হল না চাঁপাডাঙা কলেজে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর |
চাঁপাডাঙা কলেজে দু’দল ছাত্রের মারপিটের জেরে মঙ্গলবার কলেজেই এলেন না পড়ুয়ারা। বেলা দেড়টার পরে ছুটি ঘোষণা করে দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ছাত্রের কথায়, “কলেজের মধ্যে যে ভাবে বোমা-পাইপগান হাতে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব দেখলাম, তাতে আমরা আতঙ্কিত।” একই বক্তব্য, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশেরও। পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও কলেজের এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।”
তারকেশ্বরের এই কলেজে তৃণমূল পরিচালিত পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে ছিলেন পুড়শুড়ার বিধায়ক পারভেজ রহমান। কলেজ সূত্রের খবর, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক গত ২৮ অক্টোবর তাঁর জায়গায় তারকেশ্বরের বিধায়ক রচপাল সিংহের নাম ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের মধ্যে আড়াআড়ি ভাঙন দেখা দিয়েছে। পারভেজ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কিছু ছাত্র নেতা ইতিমধ্যেই ক্লাস বন্ধ করে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। সোমবার উত্তেজনা চরমে ওঠে। দুই বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দু’দল ছাত্রের মধ্যে বোমা-গুলি নিয়ে মারপিট বাধে। জখম হয় দু’পক্ষের জনা দ’শেক। মঙ্গলবার পর্যন্ত অবশ্য এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি কেউ।
দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই চেহারা নেওয়ায় বিব্রত শীর্ষ নেতৃত্ব। সোমবারের ঘটনার পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, সমস্যা মেটাতে দুই বিধায়ককে নিজেদের মধ্যে কথা বলে নিতে বলেছেন। বস্তুত, তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সোমবার গণ্ডগোলের পরে দু’জনকে নিয়ে বিকাশ ভবনে আলোচনায় বসেছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। যদিও সেখানে সমাধান সূত্র না বেরনোয় নিজাম প্যালেসে দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় নিজেই।
পারভেজ এ দিন বলেন, “দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে আমাকে সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে এখনও কোনও সরকারি নির্দেশ হাতে পাইনি।” রচপাল অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |