|
|
|
|
মহুয়ার নিয়োগে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
নিয়োগের পরে একটা সপ্তাহ পার হতে না-হতেই রাজ্য মহিলা কমিশনের নতুন চেয়ারপার্সন মহুয়া মাজির নিয়োগ বাতিল করার দাবি তুলল রাজ্য সরকারের প্রধান জোট শরিক, কংগ্রেসের মহিলা শাখা। মহুয়াদেবীর পরিবর্তে নতুন চেয়ারপার্সন নিয়োগের দাবিতে আজ মহিলা কংগ্রেসের সদস্যরা রাজ্যপাল সৈয়দ আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের অভিযোগ, মহিলা কমিশনের নতুন চেয়ারপার্সনকে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের ব্যবহারে সরকারের দুই প্রধান শরিক, কংগ্রেস ও জেএমএম-এর মধ্যে শুরু হয়েছে তরজাও। গত ৭ নভেম্বর মহুয়াদেবীকে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে নিযুক্ত করে রাজ্য সমাজকল্যাণ দফতর। পেশায় হিন্দি সাহিত্যিক, মহুয়াদেবী রাঁচির প্রবাসী বাঙালি। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি সমাজকর্মী হিসেবেও মহুয়াদেবীর পরিচিতি রয়েছে।
রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের দাবি, মহুয়াদেবীর সমাজকল্যাণ মূলক কাজকর্মের কোনও অভিজ্ঞতা নেই। তিনি সরকারি নিয়ম মেনে চেয়ারপার্সন পদের জন্য কোনও আবেদনও জানাননি। মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি আভা সিংহের অভিযোগ, “নতুন চেয়ারপার্সনকে কোনও ইন্টারভিউ দিতে হয়নি। তিনি ওই পদের জন্য আবেদনও করেননি। সমাজকল্যাণ দফতর তাঁকে তুলে ওই পদে এনে বসিয়ে দিয়েছে। সবটাই আগে থেকে ঠিক ছিল। লোক দেখানোর জন্য বায়োডাটা চাওয়া হয়েছিল প্রার্থীদের কাছ থেকে। সেগুলি শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়।” তিনি আরও বলেন, “নতুন চেয়ারপার্সন সাহিত্যিক। কিন্তু সমাজসেবা মূলক কাজে তাঁর কোনও অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তাঁকে ওই পদে বসানো হয়েছে। সরকারে আমরা অন্যতম প্রধান শরিক। অথচ দলের কাউকে ওই পদে বসানো হল না। আরও অনেক অভিজ্ঞ মহিলা রয়েছেন। তাঁদের কথাও ভাবা হয়নি। আমরা চাই নতুন করে চেয়ারপার্সন নিয়োগ করা হোক। আমরা রাজ্যপালের কাছে সেই দাবিই জানিয়েছি।”
মহুয়াদেবী শুধু বলেন, “আমি রাজনীতির মানুষ নই। আমায় সরকার নিয়োগ করেছে। কারা বিরোধিতা করছেন আমি জানি না। তবে যখন চেয়ারপার্সন পদের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছিল তখন আমি আবেদন করেছিলাম। আমার কাছে তার রিসিভ কপিও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই আমি সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কাজের সঙ্গে জড়িত।” মহুয়াদেবী চেয়ারপার্সন হওয়ার পর থেকেই রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের তরফে তাঁর বিরোধিতা করা হয়েছে। কখনও সরকারের কুশপুতুল পোড়ানো হয়েছে। কখনও মহিলা কমিশনের সদর দফতরের সামনে ধর্না দেওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী তথা জেডিইউ নেত্রী অন্নপূর্ণাদেবী রাঁচির বাইরে রয়েছেন। তিনি এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বাঙালি চেয়ারপার্সনের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য মহিলা কংগ্রেসকে এক হাত নিয়েছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার মহাসচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে নেয় না। তাঁর নিয়োগ সরকারি সিদ্ধান্ত। একজন অরাজনৈতিক মানুষকে ওই পদে বসিয়ে সরকার তার নিরপেক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তাতে যদি কারও ব্যক্তিগত স্বার্থে ঘা লাগে তবে সরকারের কী করার আছে।” |
|
|
|
|
|