এক মহিলা কনস্টেবলকে ‘কুপ্রস্তাব’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল নিউ টাউন থানার আইসি-র বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। ওই কনস্টেবলের অভিযোগ, তিনি আইসি অশেষবিক্রম দস্তিদারের কাছে ছুটি চাইলে তা মঞ্জুর না করে আইসি তাঁকে ‘কুপ্রস্তাব’ দেন। প্রতিবাদ করলে তাঁকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। সোমবার তিনি বিষয়টি মৌখিক ভাবে এডিসিপি (এয়ারপোর্ট) সন্তোষ নিম্বলকরকে জানান। তিনি তাঁকে কমিশনারেটে অভিযোগ জানাতে বলেন। যদিও অশেষবাবুর বক্তব্য, “ওই মহিলা কনস্টেবলের অভিযোগ মিথ্যা।” বরং তাঁর দাবি, ওই কনস্টেবল ইচ্ছেমতো ছুটি নিতেন। সময়ে অফিসে আসতেন না। ইউনিফর্ম পরতেন না। অশেষবাবু জানান, ওই মহিলার বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কতৃর্র্পক্ষকে জানিয়েছেন।
বিভাগীয় তদন্ত করছে বিধাননগর কমিশনারেট। মঙ্গলবার ওই মহিলা কমিশনারেটে গিয়ে ডিসি (সদর) সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানান। সুব্রতবাবু বলেন, “বিভাগীয় তদন্ত হবে।” ওই কনস্টেবলের অভিযোগ, বিভাগীয় তদন্ত শুরুর আগেই তাঁকে ক্লোজ করা হয়েছে। যদিও নিম্বলকর বলেন, “ওঁকে ক্লোজ করা হয় নি। উনি ছুটিতে গিয়েছেন। ফিরলে তাঁকে রিজার্ভ অফিসে পাঠানো হবে।” ওই মহিলা মানবাধিকার সংগঠন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির (এপিডিআর) রঞ্জিত শূরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে রঞ্জিতবাবু মঙ্গলবার তাঁকে নিয়ে মানবাধিকার কমিশনে যান। কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় এডিজি এল এল ডঙ্গলকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তার রিপোর্ট ৩ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে বলে জানান কমিশনের রেজিস্ট্রার রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। |