রাস্তার ধারের দোকানে বসে চাউমিন খাচ্ছিলেন এক যুবক-যুবতী। ঝাল লেগেছে বলে দোকান থেকে জল খান ওই যুবক। পরে ফের এক চামচ চাউমিন খেতেই ঘটে গেল বিপত্তি। হঠাৎই মাটিতে পড়ে গিয়ে ছটফট করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বিধাননগরের পাঁচ নম্বর সেক্টরে ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায়। মৃতের নাম গুড্ডু সাউ (২০)। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ও বিচার চেয়ে পাঁচ নম্বর সেক্টর থানায় লিখিত আবেদন করেছে যুবকের পরিবার। এই মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পেয়ে পুলিশ মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, সোমবার অফিসের কাছে রাস্তার ধারে দোকানে চাউমিন খেতে যান সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরের একটি বিমা সংস্থার কর্মী গুড্ডু ও মানিকতলা থানা এলাকার বাসিন্দা রিচা দাস। তার পরেই এই বিপত্তি। দোকানদার অশোক পাল জানান, প্রায় দু’তিন দিন হল তাঁরা ওই দোকানে খেতে যেতেন। রিচা বলেন, “হঠাৎ দেখি গুড্ডুর চোখ উপরে উঠে গিয়েছে। ভাবলাম ঠাট্টা করছে। এর পরই সে মাটিতে পড়ে যায়।”
অশোকবাবু বলেন, “ছেলেটি পড়ে গিয়ে ছটফট করছিল। মাথায় জল দিয়েও সাড়া পাইনি। লোকজন ছুটে এসেও জল দিতে থাকে।” তিনি জানান, এর পরে মেয়েটি অফিসে ফোন করলে দুই সহকর্মী ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় গুড্ডুর পরিবারকে। গুড্ডুর দাদা অমরনাথ সাউ বলেন, “ফোনে জানানো হয় ভাই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। এসে দেখি সব শেষ।” পুলিশ জানায়, প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, চাউমিন খেয়েই বিপত্তি ঘটে। কোনও বস্তু শ্বাসনালীতে আটকে এমন ঘটতে পারে। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না পেলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে না।
গুড্ডুর আগে থেকেই কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও মৃতের বাবা ভগবান সাউ বলেন, “পুলিশকে বলেছি ছেলের আগে কোনও রোগ ছিল না। হঠাৎ করে কী এমন ঘটে গেল?”
বিধাননগরের এডিসিপি অজয় প্রসাদ জানান, মৃতের পরিবারের তরফে ঘটনার তদন্ত ও মৃত্যুর বিচার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হবে। |