পুলিশ আবাসনের উদ্বোধনের দু’মাস পরেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি বিদ্যুতের সংযোগ না দেওয়ায় ঝাঁ চকচকে ৩২টি কোয়ার্টার তালা বন্ধ পড়ে রয়েছে। ফলে নতুন কোয়ার্টারে ঢুকতে পারছেন না জেলা পুলিশ অফিসারেরা। আবাসনে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির জেলা আধিকারিকদের টালবাহানায় বেজায় চটেছেন খোদ পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “পুলিশ আবাসনে বিদ্যুতের সংযোগে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি যে কোটেশন পাঠিয়েছে, সেই টাকা রাজ্য পুলিশের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। টাকার অসুবিধা হবে না। তার পরেও বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আধিকারিক ‘আজ দিচ্ছি, কাল দিচ্ছি’ বলে ঘোরাচ্ছেন।” |
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের দুর্গাবাড়ি মোড়ের কাছেই নাকা পুলিশ ফাঁড়িতে অ্যাসিস্টেন্ট সাব ইন্সপেক্টর, ইন্সপেক্টরদের জন্য ২৪টি ও ডিএসপি পদমযার্দার অফিসারদের ৮টি ৩২টি কোয়ার্টার তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গ হাউজিং কর্পোরেশন। তদনীন্তন পুলিশ প্রধান নপরাজিত মুধোপাধ্যায় ৯ সেপ্টেম্বর এই আবাসনের উদ্বোধন করেন। সে দিনই তিনি ঘোষণা করেন, ‘পুলিশ অফিসারেরা সরকারি কাজ করছেন অথচ থাকার ভাল ব্যবস্থা নেই। রাজ্য পুলিশ তাঁদের জন্য ৩২টি কোয়ার্টার তৈরি করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে এই আবাসন জেলার পুলিশ অফিসারদের হাতে তুলে দেওয়া হবে’। দুই মাস পরেও কোয়ার্টারে ঢুকতে না পেরে অফিসারদের মধ্যে ক্ষোভ দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ আবাসনের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ফুলবাড়ি সেক্টরের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশকে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকার কোটেশন পাঠানো হয়েছিল। তা হাতে পেয়েও জেলা পুলিশ বিদ্যুৎ দফতরে কোনও টাকাও জমা দেয়নি। সেই জন্যই বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি পুলিশ আবাসনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়নি বলে দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির তরফে মালদহের রিজিওল্যাল ম্যানেজার দেবাংশু দাস বলেন, “ওই পুলিশ আবাসনে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে অনুমোদন দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তার অনুমোদন এলেই পুলিশ আবাসনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। |