হাওড়া জেলা হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে দশ শয্যার ডায়ালিসিস ইউনিট। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে (পিপিপি মডেল) রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এই ডায়ালিসিস ইউনিট চালাবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) দেবাশিস রায় বলেন, “যে ঘরে ডায়ালিসিস ইউনিট খোলা হবে সেটির পুনর্গঠন এবং বৈদ্যুতিকরণের কাজ পূর্ত দফতরকে দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ কাজ শেষ। শীঘ্র এই ইউনিট রোগীদের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে।”
প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে সাপে কাটা এবং বিষ খাওয়ার রোগী ভর্তি হন। যাঁদের অবস্থা গুরুতর, তাঁদের ডায়ালিসিস করানোর প্রয়োজন হয়। এ ছাড়াও, কিডনি সংক্রান্ত অসুখে ডায়ালিসিস করাতে হয়। এই ধরনের রোগীদের বর্তমানে ‘রেফার’ করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাওড়া জেলা হাসপাতালে ডায়ালিসিসি ইউনিট চালু হলে কলকাতার উপরে চাপ অনেকটা কমবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের আশা। |
স্বাস্থ্য দফতরের বিধান মেনে এই ইউনিট চালাবে একটি বেসরকারি সংস্থা। যে সংস্থা এই দায়িত্ব পাবে, টেন্ডারের মাধ্যমে তার নামও চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমওএইচ। এই ইউনিটে ডায়ালিসিস করানোর খরচ অনেক কম পড়বে বলে তাঁর দাবি। এর পাশাপাশি, উলুবেড়িয়া হাসপাতালেও একটি দশ শয্যার ডায়ালিসিস ইউনিট খুলতে চেয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতর স্বাস্থ্য ভবনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এখানেও বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে সাপে কাটা, বিষ খাওয়া এবং কিডনির অসুখে আক্রান্ত রোগীরা আসেন। এই হাসপাতালে বাড়তি ঘর এবং জলের ব্যবস্থা রয়েছে। উল্লেখ্য, ডায়ালিসিস ইউনিট খুলতে হলে নিরবচ্ছিন্ন জলের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, হাওড়া জেলা হাসপাতাল এবং উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিট খোলার জন্য একই সঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে হাওড়ার প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে। উলুবেড়িয়ারটি দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য বিবেচনাধীন রয়েছে। |