তিনটি পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৯০ হাজার বাসিন্দার জন্য একটি মাত্র প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তাও কাগজে-কলমে ৬ শয্যার। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলার জন্য যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। অবিলম্বে সরকারি নিয়ম নীতি মেনে ৬টি শয্যা চালু করা, চিকিৎসক নিয়োগ-সহ নানা দাবিতে সরব হলেন এলাকার বাসিন্দারা। সমস্যাটি মাড়গ্রাম থানার দুনিগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। সোমবার দুনিগ্রাম হাসপাতাল বাঁচাও কমিটি গঠন করে রামপুরহাটের জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ও রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিলেন দুনিগ্রাম, হাঁসন ১ এবং হাঁসন ২ এই তিনটি পঞ্চায়েতের হাজার খানেক বাসিন্দা। স্মারকলিপি দেওয়ার আগে বাসিন্দারা রামপুরহাট শহর জুড়ে মিছিল করেন। |
মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক রাধানাথ মাড্ডি বলেন, “আগামী ২১-২২ নভেম্বরের মধ্যে নিজে দুনিগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাব। এক মাসের মধ্যে ওই হাসপাতালে ৬টি শয্যা চালু করার চেষ্টা করব। শয্যা সংখ্যা ১০ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।” আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন রামপুরহাট মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায়।
এ দিকে, আন্দোলনকারীদের সমর্থনে জেলার এপিডিআর কর্মী থেকে কলকাতা থেকে চিকিৎসকদের একটি সংগটনের সদস্যদের উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। দুনিগ্রামের বাসিন্দা সামিরুল ইসলাম, চাঁদপাড়ার বাপি দত্ত বলেন, “১৯৭৬ সালে এই হাসপাতালে ৬টি শয্যার অনুমোদন মেলে। অথচ এই হাসপাতালে আজ পর্যন্ত তা চালু করা হয়নি। কেবলমাত্র কাগজে কলমে তা উল্লেখ আছে। তা ছাড়া, এই হাসপাতালে একজন চিকিৎসককে রাখা হলেও, তাঁকে সপ্তাহে দু’দিন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডিউটি করার জন্য তুলে নেওয়া হয়।” এলাকাবাসী আনার শেখ, বদিউজ্জামান, রফিকুল আলমরা বলেন, “ফার্মাসিস্টের অভাবে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা ওষুধ দেন। এতে বিপদ থেকে যায়।” মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক রাধানাথ মাড্ডি আশ্বাস দেন, “ওখানে যাতে নিয়মিত চিকিৎসক থাকেন তার ব্যবস্থা করা হবে। ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের দিয়ে ওষুধ দেওয়া বন্ধ করা হবে।” |