এলাকার বেহাল রাস্তা মেরামতি না হওয়া, ত্রাণের মালপত্র বিলি না করা-সহ গ্রামোন্নয়নের নানা বিষয়ে উদাসীনতার অভিযোগে সোমবার বনগাঁ ব্লকের সিপিএম পরিচালিত বৈরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিলেন কয়েকশো গ্রামবাসী। গ্রামোন্নয়নের আট দফা দাবিও তোলেন তাঁরা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান দল দেখেন। তফসিলিভুক্ত পড়ুয়ারা ভাতার টাকা পাচ্ছে না। ১০০ দিনের কাজে সুপারভআইজার নিযোগের ক্ষেত্রে প্রধান স্বজনপোষণ করছেন। |
১৫ বছর পরে, কয়েক মাস আগের ভোটে ওই পঞ্চায়েতটি সিপিএম দখল করে। তাদের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থে তৃণমূলই পঞ্চায়েতের কিছু মানুষকে উস্কানি দিয়ে এ দিন তালা ঝুলিয়েছে। তৃণমূল সিপিএম সদস্যদের অর্থের প্রলোভনে নিজেদের দিকে টেনে পঞ্চায়েত দখল করতে চাইছে।
প্রধান বাবুল হোসেন মণ্ডল বলেন, “আমাদের কাজ করার সদিচ্ছার অভাব নেই। কিন্তু তৃণমূল কোনও রকম সহযোগিতা করছে না। প্রতিটি কাজে বাধা দিচ্ছে। ওরা প্রমাণ করতে চাইছে প্রধান কাজ করতে পারেন না। ত্রাণের ত্রিপল, জামাকাপড় থেকে শুরু করে সর্ষেবীজ সব পড়ে রয়েছে। তৃণমূল বিলি করতে দিচ্ছে না।” সাধারণ মানুষই এ দিন বিক্ষোভ দেখান, দাবি করে পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের হায়দার আলি মোল্লা বলেন, “আমরা সব রকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কিন্তু প্রধান নিজের মতো কাজ করছেন। বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন না।” সিপিএম সদস্যদের দলে টানার অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছেন। |