দলের পুরপ্রধানকে অপসারণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
বহরমপুরে পুর নির্বাচনের আগে তৃণমুলের গোষ্ঠী কোন্দল আছড়ে পড়ল ধুলিয়ানে। অনাস্থার তলবি সভা ডেকে ধুলিয়ান পুরসভায় দলেরই পুরপ্রধান তুষারকান্তি সেনকে সোমবার অপসারণ করলেন দলের ১১ জন কাউন্সিলর। ১৯ সদস্যের ওই পুরসভায় এ দিনের তলবি সভায় বামফ্রন্টের ৬ জন কাউন্সিলর যোগ দেননি। তৃণমূলের ১৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে সভায় আসেননি পুরপ্রধান-সহ এক কাউন্সিলরও। ফলে কার্যত বিনা বাধায় উপস্থিত তৃণমূলের ১১ জনের সমর্থনে দলেরই পুরপ্রধান তুষারবাবুকে অপসারণের প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। গত ২১ অক্টোবর তৃণমূলের ১১ জন কাউন্সিলর পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে অনাস্থার নোটিশ দেন। কিন্তু পুরপ্রধান অনাস্থা সভা না ডাকায় পুর বিধি অনুসারে তৃণমূলের ৩ জন কাউন্সিলর তলবি সভা ডাকেন সোমবার। তুষারবাবু বলেন, “অপসারণের খবর পেয়েছি। এরপর তৃণমূলে থাকব কি না তা নিয়ে এখনই কিছু বলছি না।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহম্মদ আলি বলেন, “তুষারবাবু ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে আমাদের দলে এসেছিলেন। কাজ না করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা বাম শরিকদের চিরকালের অভ্যেস। তুষারবাবুও তা থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। ফলে দলের সকলেই তার অপসারণ চেয়েছেন। এখন পরিস্থতি মেনে নিয়ে তিনি দলে থাকবেন কি না সেটা তাঁর সিদ্ধান্ত।”
|
হাসপাতাল থেকে পালাল বন্দি
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
রীতিমত ফিল্মি কায়দায় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চম্পট দিল বিচারাধীন এক বন্দি। শরিফ মোমিন নামে ওই যুবকের বাড়ি ফরাক্কার বল্লালপুর গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে জাল টাকা-সহ সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। রবিবার তাকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। রবিবার সন্ধ্যায় শরিফ পুলিশকে অসুস্থতার কথা জানায়। দু’জন কনস্টেবল তাকে বেনিয়াগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। গাড়ি থেকে নামার সময় এক কনস্টেবলকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় শরিফ। শরিফের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলও খেটেছে সে। সোমবার রাত পর্যন্ত শরিফের কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ওই বন্দি কীভাবে পালাল তা তদন্ত করে বৃহস্পতিবারের মধ্যে জঙ্গিপুরের এসডিপিওকে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • সালার |
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। রবিবার রাতের এই ঘটনায় মৃতের নাম পাপিয়া দাস (১৯)। তিনি সালার গ্রামের বাসিন্দা। বছর দেড়েক আগে সালিন্দা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর ঝোটন দাসের সাথে বিয়ে হয় পাপিয়ার। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝোটন নিয়মিত জুয়া খেলত। তাই নিয়ে পাপিয়ার সঙ্গে চলত ঝগড়া। কখনও কখনও তা পৌঁছাত হাতাহাতিতেও। মহিলার পড়শিরা জানান, রবিবারও পাপিয়াকে মারধর করে ঝোটন। এরপর পাপিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রতিবেশীরা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় পাপিয়ার। তার পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অন্য দিকে, অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে উত্তম সাহা (৪১) নামে এক ব্যক্তির। তিনি বড়ঞার আন্দি গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
|
বিপ্লবী ক্ষিতীশ বসুর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট |
বিপ্লবী ক্ষিতীশ বসুর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হল নদিয়ার পায়রাডাঙার প্রীতিনগরে। শনিবার বিপ্লবী ক্ষিতীশ বসু স্মৃতি পরিষদ ও বুক ব্যাঙ্ক আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে আলোচনাচক্র, স্বাস্থ্য শিবির ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রয়াত ক্ষীতিশ বসুর পুত্র বিমল বসু বলেন, “১৯৭৮ সালে তৈরি এই বুক ব্যাঙ্কে চার হাজার বই আছে।”
|
মেয়েকে পুড়িয়ে মারল সৎমা |
বিয়ের আগেই মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। পাড়ার লোকের কাছে ‘লজ্জা’ আড়াল করতে তাই মেয়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন সৎমা। রবিবার সকালে মেয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পরেই ঘরের কোণায় রাখা কেরোসিনের বোতলটি ঢেলে দেন দিলরুবা খাতুনের (১৯) গায়ে। তারপর দেশলাই জ্বেলে ছুড়ে দেন মেয়ের দিকে। জ্বলন্ত দিলরুবাকে বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা। আগুনে পুড়ে গিয়েছেন তিনিও। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রতিবেশীরাই বাবা ও মেয়েকে ভর্তি করেন হাসপাতালে। সেখানে সোমবার দুপুরে মারা যান ওই তরুণী। মুর্শিদাবাদের কান্দির ওই ঘটনায় পুলিশ দিলরুবার সৎমা মুর্শিদা বিবিকে গ্রেফতার করেছে।
|
মুর্শিদাবাদ ডিএমের বাংলো ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরে অভিযুক্ত রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীকে আগাম জামিন দিলেন বহরমপুর আদালতের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা বিচারক পার্থপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়। ওই মামলায় ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত অধীরের অন্তর্বর্তী জামিন দেন বিচারক। সেই অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ সোমবার শেষ হওয়ায় এ দিন মন্ত্রীর আগাম জামিনের শুনানি হয়। শুনানির সময় সরকার পক্ষের আইনজীবী আগাম জামিনের বিরোধিতা করেন। সরকার পক্ষের আপত্তি খারিজ করে বিচারক অধীরের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
পুরনো খবর: বাড়ল অধীরের জামিনের মেয়াদ |