নির্বাচনী বিধি ভাঙার অভিযোগ তুলে শহরে জল সরবরাহের জন্য মাটির নিচে পাইপ লাইন বসানোর কাজ বন্ধ করে দিলেন বহরমপুর মহকুমাশাসক তথা বহরমপুর পুরভোটের নির্বাচনী আধিকারিক অধীর বিশ্বাস। বহরমপুর পুরসভার পাল্টা অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলকে তুষ্ট করতে পানীয় জলের মতো অত্যাবশ্যক ও জরুরি পরিষেবার কাজকে এ ভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় বহরমপুর মহকুমাশাসকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হবে।
২০০৮ সালে জওহরলাল নেহেরু আরবান রিনিউয়াল মিশন প্রকল্পে দৈনিক ২৭ লক্ষ গ্যালন পানীয় জল বহরমপুর শহরে সরবরাহের জন্য ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্সেনিক দূষণমুক্ত পানীয় জল সরবরাহের জন্য ভাগীরথীর জল তুলে তা শোধন করার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে টাকা বরাদ্দের কয়েক মাস পরেই। রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরি বলেন, “শতকরা ৯০ ভাগ কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে পাড়ায় পাড়ায় জল সরবরাহের জন্য মাটির নিচে পাইপ লাইন বসানের কাজ।” সেই কাজ রবিবার পুলিশ নিয়ে গিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন বহরমপুরের মহকুমাশাসক।
বহরমপুর মহকুমাশাসক অধীর বিশ্বাস বলেন, “নির্বাচনী বিধি ভেঙে জল সরবরাহের জন্য মাটির নিচে পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে বলে আমার কাছে অভিযোগ আসে। তারপরেই সেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদি পুরসভার পক্ষ থেকে নির্বাচন বিধি না ভাঙার উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারে তবেই আবার কাজ শুরু হবে।”
পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বলেন, “পাইপ লাইন বসানোর কাজের টেন্ডার হয়েছে ২০১২ সালে ১৮ অক্টোবর। সেই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখে। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে ২২ অক্টোবর। সেই মতো নির্বাচনী বিধি লাগু হয়েছে ২২ অক্টোবর থেকে। ফলে পাইপ লাইন বসানোর কাজে কোনও ভাবেই নির্বাচনী বিধি ভাঙা হয়নি।” পুরপ্রধান বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনে মহকুমাশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাব।” |