নেতা-মন্ত্রীর ভিড়ে প্রচারের পারদ চড়ছে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দোরগোড়ায় পুরভোট। দিন যত এগোচ্ছে, প্রচারও তত তুঙ্গে উঠছে মেদিনীপুরে। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা-মিছিল হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেই এক ছবি।
|
|
পুরপ্রচার। মীরবাজারে কংগ্রেসের সভায় বক্তা মানস ভুঁইয়া । |
আগামী শুক্রবার মেদিনীপুর পুরসভা নির্বাচন। প্রচারের শেষ দিন কাল, বুধবার। শেষলগ্নের প্রচারে সোমবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। অন্য দিকে, কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সবংয়ের বর্তমান বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, এআইসিসির নেতা শাকিল আহমেদ খান। কংগ্রেস, তৃণমূল ছাড়াও জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে সিপিএম, বিজেপি-সহ সব রাজনৈতিক দলই। |
|
শহরের মির্জাবাজারে সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর সভা । |
সোমবার সন্ধ্যায় শহরের মীরবাজার, বল্লভপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী পথসভা করে কংগ্রেস। সভা থেকে সিপিএম-তৃণমূল দু’দলেরই কড়া সমালোচনা করেন নেতৃত্ব। মানস ভুঁইয়া বলেন, “সিপিএম যে ভাবে বাংলার মাটিকে রক্তাক্ত করেছিল, তৃণমূল সেই একই ভাবে বাংলার মাটিকে রক্তাক্ত করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী অত্যাচার হল। এই শহরেও চোখরাঙানি চলছে।” মেদিনীপুর পুরসভার বিদায়ী বোর্ড কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের দখলে ছিল। বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থাও এসেছিল। এ প্রসঙ্গে মানসবাবু বলেন, “আমরা তৃণমূলের হাত ধরেছিলাম বন্ধুত্বের জন্য। মেদিনীপুর শহরের কাজের জন্য। তাই অনাস্থা এলেও আমরা কিন্তু বোর্ডের পাশ থেকে সরে যাইনি। আমাদের ৪ জন কাউন্সিলর বোর্ডের পক্ষেই ছিলেন।” |
|
প্রচারে সৌমেন মহাপাত্র |
সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের একাংশ কাউন্সিলরই বোর্ড ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন। আর সিপিএমের প্রতি মানসবাবুর কটাক্ষ, “মেদিনীপুরে সিপিএম এখন গর্তে ঢুকে গিয়েছে। তাই কোথাও সূর্য, কোথাও সিঁড়ি চিহ্ন নিয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছে।” এআইসিসির নেতা শাকিল আহমেদ খানও তৃণমূলের সমালোচনা করে বলেন, “বাংলায় প্রকৃত পরিবর্তন হয়নি। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লুঠ হচ্ছে।” সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে। সিপিএমও এ দিন তাঁতিগেড়িয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী পথসভা করে।
|
—নিজস্ব চিত্র। |
|