|
|
|
|
মালগাড়ির গার্ডকে মারধর করে ছিনতাইয়ের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির গার্ডকে মারধর করে সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। রবিবার রাতে মাদপুর ও জকপুর স্টেশনের মাঝে ঘটনাটি ঘটেছে। জখম গার্ড পবন কুমারকে খড়্গপুর রেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর গালে ও মাথায় চোট রয়েছে। পবনবাবু সাঁতরাগাছি রেলইয়ার্ডের কর্মী। এ দিন তিনি আন্দুল থেকে খড়্গপুরের নিমপুরা রেল ইয়ার্ডে একটি মালগাড়িতে যাচ্ছিলেন। জকপুর ঢোকার মুখে মালগাড়িটি দাঁড়িয়ে পড়াতেই এই বিপত্তি। খড়্গপুর রেল পুলিশের কাছে সোমবার ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন আন্দুল রেল ইয়ার্ড থেকে নিমপুরা রেল ইয়ার্ডে ওই খালি মালগাড়িটি আসছিল। মালগাড়িটির শেষে ‘গার্ডরুমে’ ছিলেন পবন কুমার। জকপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে ‘হোম সিগন্যালে’ আটকে যায় মালগাড়িটি। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁর গার্ডরুমে ঢুকে পড়ে দু’জন দুষ্কৃতী। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁর ওয়াকিটকি, মোবাইল। এর পর পবনবাবু বাধা দিলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গার্ডের টর্চ-সহ সরঞ্জাম বাক্স ও জামাকাপড়ের ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পবনবাবু বলেন, “ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই দু’জন আমাকে মারধর করে নগদ ১ হাজার টাকা, মোবাইল-সহ সর্বস্ব নিয়ে চলে যায়। ওই ঘটনায় ভয়ে রয়েছি।” রেল পুলিশের আইসি আশিসকুমার রায় বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে তদন্ত চলছে। এ দিকে ওই জকপুর স্টেশন চত্বরে রাতের যাত্রীবাহী প্যাসেঞ্জার ট্রেনও খুব নিরাপদ নয় বলেই যাত্রীদের অভিযোগ। মাঝেমধ্যে ট্রেনে ছোটখাটো ছিনতাইয়ের অভিযোগও শোনা যায়। এ দিন খড়্গপুরের ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কিছু দুষ্কৃতী এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি রাজ্যের রেল পুলিশ দেখছে। আমরা রাজ্যের সহযোগিতায় এই ঘটনার মোকাবিলার চেষ্টা করব। |
|
|
|
|
|