রাত পাহারাদারের মুখ-হাত-পা বেঁধে, পেটে ছুরি মেরে চাঁপদানির লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির থেকে গয়না লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। রামচন্দ্র সাউ নামে জখম ওই রাত পাহারাদারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও সোমবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত দু’টো নাগাদ ওই মন্দিরে হানা দেয় তিন দুষ্কৃতী। রামচন্দ্রবাবু মন্দিরের সামনে পাহারা দিচ্ছিলেন। অভিযোগ, মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। এর পরে মুখ এবং হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। তার পরে তালা ভেঙে মন্দিরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। বিগ্রহের হার, কানের দুল, টিপ-সহ বেশ কয়েক ভরি সোনা এবং রুপোর অলঙ্কার হাতিয়ে নেয় তারা। এর পরে রামচন্দ্রবাবুর পেটে ছুরি মেরে পালায়। সকালে মন্দির খুলতে এসে পুরোহিত ভজনলাল শাস্ত্রী দেখেন, তালা ভাঙা। রামচন্দ্রবাবু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তিনি পড়শিদের ডাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। আহত রামচন্দ্রবাবুকে প্রথমে গৌরহাটি ইএসআই এবং পরে সেখান থেকে কলকাতার মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মহিলার। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাগনান খালোড়ের কাছে বাগনান-শ্যামপুর রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম হাসনায়ালা বেগম (৫৫)। বাড়ি বাগনানের হাল্যানে। স্বামীর সঙ্গে মোটর বাইকে বসে হাল্যান থেকে বাগনানে আসছিলেন তিনি। খালোড়ের কাছে আচমকা বাইক থেকে পড়ে যান। সে সময়ে আচমকা উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরি তাঁকে পিষ্ট করে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। লরিটি পালিয়ে গেলেও উত্তেজিত জনতা প্রায় আধ ঘণ্টা পথ অবরোধ করে। পরে পুলিশ গিয়ে সেই অবরোধ তুলে দেয়। |