টুকরো খবর
পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত চার
তিনটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চার জনের। দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে বর্ধমান ও গলসি থানা এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে বর্ধমানের বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ার নজরুল পল্লীর বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর তিন যুবক একটি বাইকে করে বর্ধমান শহরের ঝিঙুটিতে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাকের ধাক্কায় তিন জনই গুরুতর আহত হন। পুলিশ তিন জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে রবিবার রাতে তিন জনকেই কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পথেই মৃত্যু হয় শেখ পান্না (১৯) নামের এক যুবকের। সোমবার ভোরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মারা যান শেখ চাঁদ (১৮)। অন্য আহত যুবক কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানিয়েছে, তিন জনই ঝিঙুটিতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। অপর দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে গলসির বড়দিঘি ও কুলগড়িয়ার মাঝে। রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় শেখ রাজা (৩২) নামের এক রিকশা চালকের। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের খাগড়াগড়ে। তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরছিলেন। রবিবারই বর্ধমানের জৌগ্রাম-আমড়া সংলগ্ন জিটি রোডে রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় হরলাল দে (৭৫) নামে এক ব্যক্তির। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

রেলের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে স্মারকলিপি
চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
ক্ষতিপূরণের বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু না জানিয়েই জমি অধিগ্রহণ করতে চাইছে রেল, এই অভিযোগে জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিলেন বর্ধমানের শক্তিগড় এলাকার বাসিন্দারা। তবে জেলাশাসক দফতরে না থাকায় স্মারকলিপি জমা নেন অতিরিক্ত জেলাশাসক ভূমি অধিগ্রহণ উৎপল বিশ্বাস। ওই বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ধমানের শক্তিগড় স্টেশন সংলগ্ন প্রায় ১৫ বিঘে জমিতে এ রাজ্যের হুগলির ডানকুনি থেকে পঞ্জাবের লুধিয়ানা পর্যন্ত ফ্রেট করিডর তৈরির একাংশের কাজ চলার জন্য জমি অধিগ্রহণের কথা বলছে রেল। কিন্তু ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি। তাঁরা আরও জানান, বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরে জেলা প্রশাসন থেকে জমি মাপতে এলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন। তাঁরা অতিরিক্ত জেলাশাসককে (ভূমি অধিগ্রহন) ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়ে চিঠি লেখেন। কিন্তু সেই চিঠির উত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ তাঁদের। এরপর গত ২০ অক্টোবর আগে যে দুটি সংবাদপত্রে প্রথম বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল সেখানেই রেলের পক্ষ থেকে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শক্তিগড় স্টেশন এলাকার জমি অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি দেওয়া হয় বলে দাবি বাসিন্দাদের। এর পর স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে গড়ে ওঠে ‘শক্তিগড় বাড়ি, জমি বাঁচাও কমিটি’। স্মারকলিপি নিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জমি অধিগ্রহণ) উৎপল বিশ্বাস বলেন, “জমি বাঁচাও কমিটির লোকেদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছি। আপাতত বলেছি শুধু জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তিই জারি হয়েছে। পরে জমি বা বাড়ির মালিককে আলাদা করে ডেকে অধিগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হবে। তখনই তাঁদের বক্তব্য শোনা হবে।”

পান্থশালার ঘর থেকে উদ্ধার অচৈতন্য ব্যক্তি
বর্ধমান পুরসভার অতিথিশালা ‘পান্থশালা’র ঘর থেকে এক ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর শমীক ভট্টাচার্য। বাড়ি ভাতার থানার ওঁরগ্রাম ভট্টাচার্য ডাঙ্গায়। তাঁর সঙ্গে থাকা গাড়ির চালককেও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ওই চালকের নাম সঞ্জয় দাস। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করার পর ওই দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে, রাতে তাঁদের সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তির খোঁজ মিলছে না। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, মাদক খাইয়ে ওই ব্যক্তিকে অচেতন করে সর্বস্ব লুঠ করা হয়েছে। বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান স্বরূপ দত্ত বলেন, “ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে। যত দ্রুত সম্ভব আমি পুলিশকে ঘটনাটির রিপোর্ট দিতে বলেছি।” পান্থশালা সূত্রের খবর, রবিবার রাতে শমীকবাবু একটি গাড়ি নিয়ে আসেন। তাঁর হাতে ৪টি মূল্যবান আংটি, মোবাইল ইত্যাদি ছিল। শমীকবাবুর সঙ্গেই জমির দালালির সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তি এখানে ঘর নেন। তার পর পানভোজনের আসর বসে। রাতে জমি দালালির সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তি চলে যান। সকালে দেখা যায় শমীরবাবু ও তাঁর গাড়ির চালক সঞ্জয় দাস অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শমীকবাবুর সঙ্গে থাকা গাড়ি-সহ আংটি, মোবাইলের খোঁজ মেলেনি। এরপর ওই অতিথিশালার কর্মীরা বর্ধমান থানায় খবর দেন। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই দুই ব্যক্তিকে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ওঁদের আচ্ছন্নতা কাটলেই ঘটনাটি স্পষ্ট হবে।”

বর্ধমান পুরসভার অতিথিশালায় অচেতন ব্যক্তি
বর্ধমান পুরসভার অতিথিশালা ‘পান্থশালা’র ঘর থেকে এক ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর শমীক ভট্টাচার্য। বাড়ি ভাতার থানার ওঁরগ্রাম ভট্টাচার্য ডাঙ্গায়। তাঁর সঙ্গে থাকা গাড়ির চালককেও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ওই চালকের নাম সঞ্জয় দাস। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করার পর ওই দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে, রাতে তাঁদের সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তির খোঁজ মিলছে না। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, মাদক খাইয়ে ওই ব্যক্তিকে অচেতন করে সর্বস্ব লুঠ করা হয়েছে। বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান স্বরূপ দত্ত বলেন, “ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে। দ্রুত পুলিশকে ঘটনাটির রিপোর্ট দিতে বলেছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.