কলের পাইপের দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাঁধল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। সোমবার মন্তেশ্বর পঞ্চায়েতের ঘটনা।
অভিযোগ, এ দিন পঞ্চায়েত খোলার পর বর্ধমান থেকে আসা এক ব্যক্তি দরপত্র জমা দিতে গেলে, সূর্য হাজরা নামে এক তৃণমূল কর্মী তাঁকে বাধা দেন। সূর্যবাবুর দাবি, এলাকার লোকজনেরাই একমাত্র দরপত্র জমা দিতে পারবেন। মন্তেশ্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান শিবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি বর্ধমান থেকে আসা ওই ব্যক্তির হয়ে কথা বলেন। অভিযোগ, এর পরই সূর্যবাবু ও শিবপ্রসাদবাবুর কথা কাটাকাটি হয়। সূর্যবাবু শিবপ্রসাদবাবুর জামার কলার ধরে টানাটানি করেন বলেও অভিযোগ। শিবপ্রসাদবাবু কাছেই একটি দলীয় কার্যালয়ে পালিয়ে যান। মন্তেশ্বর থানা ও মন্তেশ্বর বিডিও অফিসে অভিযোগ জানান তিনি। তাঁর দাবি, বাইরের কেউ যাতে দরপত্র জমা দিতে না পারে তাই এই ব্যবস্থা। অবিলম্বে সঠিক নিয়মে দরপত্র ডাকার ব্যবস্থ হোক। কিন্তু তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠীর দাবি, পঞ্চায়েত ভবনে যখন ঝামেলা চলছিল তখন তৃণমূলের মন্তেশ্বর অঞ্চল সভাপতি সুজিত ভট্টাচার্য মিটমাট করতে ঘটনাস্থলে যান। তখন অমিত রায় ও বিপদ মণ্ডল নামে দুই তৃণমূল কর্মী তাঁকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। সুজিতবাবুও মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ করেন।
দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের কথা স্বীকার করে নিয়েছে মন্তেশ্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। মন্তেশ্বর ব্লক সভাপতি সজল পাঁজা বলেন, “পঞ্চায়েত সভাপতি সুজিতবাবু স্বচ্ছ ভাবে পঞ্চায়েত চালাতে চাইছেন। কিন্তু সিপিএমের মদতে কয়েকজন তাকে এ দিন বাধা দেয়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিরোধ করি।” কিন্তু বিরোধীরাও তো তৃণমূলেরই। সজলবাবুর দাবি, “যারা গণ্ডগোল পাকিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |