টুকরো খবর
রায়গঞ্জে হাত-পা বাঁধা বিবস্ত্র বধূর দেহ উদ্ধার
এক বধূর হাত পা বাঁধা অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল। রবিবার রায়গঞ্জে রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়ায়। এক পুকুরের ধারে ধান খেত সংলগ্ন বাঁশ ঝাড়ে বধূর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন বাসিন্দারা। নিহতের নাম নাজিমা খাতুন (৩০)। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মণীয়া এলাকায়। মৃতার গলায় দড়ির ফাঁস জড়ানো ছিল। মাথায় অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। দেহের পাশ থেকে পুলিশ একটি দা উদ্ধার করেছে। পেশায় গৃহশিক্ষিকা নাজিমা গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। মৃতার কাকা ফজলুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার বিকালে নাজিমার স্বামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম আবদুল কালাম। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই বধূকে বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে হাত ও পা বেঁধে গলায় দড়ির ফাঁস পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করার পর মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। পাশাপাশি, খুনের আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে কী না তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেভিড ইভান লেপচা বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সব কিছুই খতিয়ে দেখছি।” থানার আইসি দীনেশ প্রামাণিক জানান, পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই খুনের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে খুনের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধর্ষণের বিষয় পরিস্কার হবে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও কয়েকজনের খোঁজ চলছে। নয় বছর আগে রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই বিলপাড়ার বাসিন্দা মাধ্যমিক উত্তীর্ণ নাজিমার সঙ্গে ধৃত আবদুলের বিয়ে হয়। দম্পতির ৭ ও ৪ বছর বয়সী দুটি মেয়ে রয়েছে। আবদুল দিল্লিতে দিনমজুরির কাজ করেন। নাজিমার কাকা ফজলুর রহমানের অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা চেয়ে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোক নাজিমার উপর অত্যাচার করত। আর্থিক সঙ্কটের কারণে নাজিমার বাবা ও মা টাকা দিতে পারেননি। ফজলুর রহমান জানান, বাপেরবাড়ি থেকে টাকা না আনার অপরাধে ওঁকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুন করেছে। এ দিন রায়গঞ্জ থানার লকআপে দাঁড়িয়ে আবদুল কালাম দাবি করেন, স্ত্রী কীভাবে নিখোঁজ হল ও কারা তাঁকে খুন করল তা জানি না। আমি ও আমার পরিবারের লোকজনকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।

উদ্বাস্তু কলোনিতে জমির দলিল বিলি
রায়গঞ্জ পুরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিনগর এলাকার উদ্বাস্তু কলোনির ৮০টি পরিবারের মধ্যে নিঃশর্ত জমির দলিল বিলি করল রাজ্য উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতর। রবিবার শক্তিনগর এলাকায় ওই পরিবারগুলির হাতে তাঁদের দখলে থাকা বাস্তুজমির দলিল তুলে দেন রাজ্যের মৎস্য দফতরের পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য-সহ রাজ্য উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতরের অফিসারেরা। অনুষ্ঠানে ওই ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ৬ একর খাস জমিকে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বলে ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি পরিবার গড়ে ২ থেকে ৬ কাটা করে জমির মালিকানা পেয়েছে। পরিষদীয় সচিব অমলবাবু বলেন, “উদ্বাস্তুরা চার দশকেও তাঁদের দখলে থাকা খাস-জমির মালিকানা পায়নি। আমরা দু’বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিভাগীয় মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরকে আর্জি জানাই। এই দলিলের মাধ্যমে উদ্বাস্তুরা তাঁদের জমি বিক্রির বা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার অধিকার পেলেন। পাট্টা দেওয়া হলে উদ্বাস্তুরা সেই অধিকার পেতেন না।” প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ২৮০০টি পরিবারের মধ্যে মোট ১৫০ পরিবার উদ্বাস্তু। সম্প্রতি তার মধ্যে ৮৯টি উদ্বাস্তু পরিবারকে নিঃশর্ত জমির দলিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাকিদেরও দলিল দেওয়া হবে।

শহরে সিটি অটো
শহরে সিটি অটো চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামপুর পুরসভা। দেড় বছর আগে শহরের সিটি অটো চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুরসভা। তবে পরিবহণ দফতরের অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তা চালু করা যায়নি। পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল জানান, এত দিন পর্যন্ত অনুমোদন না পাওয়াট সিটি অটো চালু করা যায়নি। সম্প্রতি প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব শীঘ্রই শহরে সিটি অটো চালু হবে। শহরের কলেজ মোড় থেকে মিলনপল্লি ৫ কিলোমিটার রাস্তায় চলবে সিটি অটো। স্টেশন রোড থেকে বাস স্ট্যান্ড-সহ ৫টি রুটে সিটি অটো চলবে। সিটি অটো চালু করা হলে রিকশার থেকে কম ভাড়ায় বাসিন্দারা শহরের মধ্যে চলাচল করতে পারবেন।

পুনর্বাসনের দাবি
পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করল ইসলামপুরের আলুয়াবাড়ি স্টেশন সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা। রবিবার ইসলামপুর স্টেশন এলাকায় তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করেন। সম্প্রতি স্টেশন সংলগ্ন দোকানঘর সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রেল। মঙ্গলবারের মধ্যে দোকান সরাতে বলা হয়েছে। কিন্তু পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এদিন পুর চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, “কাটিহার ডিভিশনের ডিএরএম ইসলামপুরে আসবেন। ওঁর সঙ্গে কথা বলব।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.