আলুর দাম বাঁধা থেকে শুরু করে উন্নয়ন, চাকরির প্রতিশ্রুতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব সমালোচনা করলেন প্রাক্তন ভূমি ও ভূমি-রাজস্ব মন্ত্রী ও বিধায়ক সিপিএমের রেজ্জাক মোল্লা।
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার সেন্দেশখালির কালীনগর বাজারে দলীয় জনসভায় প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, “উনি ১৩ টাকা কেজ দরে আলুর দাম বেঁধে দেওয়ার জন্য হন্যে হয়ে গিয়েছেন। অথচ এ সময় অনেক কম দামে আলু বিক্রি হয়। আসলে চাষি বা সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য নয়, ফড়ে, ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থেই তিনি সবকিছুর দাম বেঁধে দিতে চাইছেন।” উন্নয়ন ও চাকরির প্রতিশ্রুতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রেজ্জাক বলেন, “রাজ্যের মানুষের কোনও উন্নয়ন না করে উনি কেবলই বলছেন কলকাতাকে লন্ডন বানিয়ে দেবেন। তাহলে কী কালিনগরের মানুষ হাতে লণ্ঠন নিয়ে ঘুরবে?” |
একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “উনি খালি বলছেন ৩৪ বছরে আমরা কী করেছি? মনে রাখবেন, আগে এখানকার মানুষ সকালে উঠে বাড়িতে বাড়িতে ফ্যান চাইত। এখন তারা নিজেদের জমিতে চাশ করে। এ সবই বামফ্রন্টের আমলের উন্নয়ন।” মুখ্যমন্ত্রীর লাখ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “এক মাস পর সিভিক পুলিশে চাকরি পাওয়া ছেলেমেয়েরা দেখছে তাদের কেবল দুর্গাপুজো, কালীপুজো আর মহরমের জন্য নেওয়া হয়েছে। কোনও পারমানেন্ট নয়, সবই চলমান। এক খেপ যাবে আর এক খেপ আসবে। এ ভাবে কী রাজ্য চলে?”
তৃণমূলের পাশাপাশি দুর্নীতির জন্য কংগ্রেস, বিজেপি-কে একহাত নিয়ে নরেন্দ্র মোদী, মনমোহন সিংহ, রাহুল গাঁধীকে চোর বলে মন্তব্য করেন রেজ্জাক। সভার শেষ লগ্নে আত্মসমালোচনা সিপিএম বিধায়ক বলেন, “মানুষ চায় সুখে দুখে তার পাশে পেতে। অতিরিক্ত মাতব্বরির জন্যই সব শেষ হয়ে গিয়েছে। মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করলে আজ আর এই অবস্থা হত না। জনগণের আলোয় এতদিন আমাদের মুখগুলো চক চক করত। তাঁরা সরে যাওয়ায় এখন ধেবড়ে গিয়েছে।” এ দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালির বিধায়ক নিরাপদ সর্দার, কৃষক নেতা সুবোধ দে। মৃণাল চক্রবর্তী প্রমুখ। |