|
|
|
|
পুরভোটে ঝাড়গ্রাম |
শেষ প্রচারে শুভেন্দুই ভরসা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
পুরভোটে প্রচারের শেষ লগ্নে ‘নন্দীগ্রামের নায়ক’-এর উপরই আস্থা রাখছে তৃণমূল। আজ, সোমবার ঝাড়গ্রামে প্রচারে আসছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় সূত্রে খবর, রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে শুভেন্দুকে অরণ্যশহরে প্রচারসভা করার জন্য অনুরোধ করা হয়। দু’টি সভা করতে রাজি হয়েছেন শুভেন্দু।
জঙ্গলমহলের দলীয় রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীকে অপরিহার্য বলে মনে করেন তৃণমূলের একাংশ। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে জঙ্গলমহলে সাফল্য এসেছিল শুভেন্দুর হাত ধরেই। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে লালগড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পঞ্চায়েত নির্বাচনী প্রচারমঞ্চেও শুভেন্দু ছিলেন। ফল বেরনোর পরে দেখা যায়, জঙ্গলমহলের সব ক’টি পঞ্চায়েত সমিতিই দখল করেছে তৃণমূল।
এ বার লড়াই ঝাড়গ্রাম পুরসভা দখলের। টানা তিন দশক ধরে এই পুরসভা বামেদের দখলে রয়েছে। তবে এ বার নিরঙ্কুশ ভাবে পুরবোর্ড দখলে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে জেলা তৃণমূল। গত এক সপ্তাহে প্রচার-পারদ চড়িয়ে ঝাড়গ্রামে সভা করেছেন তৃণমূলের ‘হেভিওয়েট’ নেতা-মন্ত্রীরা। প্রার্থীকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। তৃণমূলের তুলনায় প্রচারে অনেকটাই পিছিয়ে বামেরা। হাতে গোনা কয়েকটি পথসভা আর বাড়ি বাড়ি প্রচারই তাদের সম্বল। তাও স্বস্তিতে নেই শহর তৃণমূল। ভাবনা সেই নির্দল কাঁটা।
সিপিএমের বিদায়ী পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের এলাকা ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিদায়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর বিজয়প্রকাশ মাহাতোও দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই অবস্থায় শুধু ‘পরিবর্তনের হাওয়ার’ উপর ভরসা করতে পারছেন না জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই শেষলগ্নে প্রচারে আনা হচ্ছে শুভেন্দুবাবুকে। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “আজ, সোমবার ঝাড়গ্রাম শহরের বংশী মোড় ও পূর্বাশায় দু’টি সভা করবেন শুভেন্দু।” তবে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের বিষয়টি বামেদের অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দীনেনবাবু। |
|
|
|
|
|