|
|
|
|
বাঁধ সারাতে বাধা তৃণমূল নেতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পাকাপোক্ত ভাবে বাঁধ মেরামতির কাজ হচ্ছে না সেচ দফতরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে কাজই বন্ধ করে দিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
গত বৃহস্পতিবার থেকে পাঁশকুড়ার চৈতন্যপুর এলাকার রাধাবন গ্রামের কাছে ক্ষীরাই নদীর ভাঙা বাঁধ মেরামতি শুরু হয়েছিল। রবিবার সকালে পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য হরিশ্চন্দ্র প্রামাণিকের নেতৃত্বে শাসকদলের লোকজন গিয়ে কাজ করতে নিষেধ করে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় বাঁধ মেরামতি। হরিশ্চন্দ্রবাবু বলেন, “যে ভাবে কাজ হচ্ছে, তাতে মোটেই ওই বাঁধ পাকাপোক্ত হবে না। আমরা সেচ দফতরকে বলেছিলাম বাঁধের গোড়ায় কাঠের খুঁটি পুঁতে পাইলিং করে ভাল ভাবে বাঁধ মেরামত করতে হবে। কিন্তু তারা তা করছে না। তাই এলাকার মানুষের দাবি মেনে এ দিন আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।”
এ প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, “এটা ঠিক যে ওখানে স্থায়ী ভাবে বাঁধ মেরামত হচ্ছে না। এ জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন।” তবে শীঘ্রই স্থায়ী সংস্কারের কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি আরও জানান, এ দিন যাঁরা কাজে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আপাতত জট কেটেছে। সেচ দফতরের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন পণ্ডিতের অবশ্য দাবি, “পাইলিং ছাড়া বাঁধ মেরামত করলে তা শক্তপোক্ত হবে না, এ কথা ঠিক নয়। আমাদের দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের যথাযথ পরিকল্পনা করেই ওই নদীবাঁধ মেরামতির কাজ করছেন।” রাধাবনের কাছে ক্ষীরাই নদীর বাঁধ ভেঙেছিল গত জুনে। তারপর থেকে দফায় দফায় ওই এলাকা জলমগ্ন হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হন চৈতন্যপুর, হাউর, ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৩০টি গ্রামের বাসিন্দা। ব্যাপক ক্ষতি হয় আমন, ফুল ও সব্জি চাষের। গত বৃহস্পতিবার থেকে বাঁধের ১০০ ফুটেরও বেশি ভাঙা অংশে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছিল। ঠিকাদারের অধীনে জনা চল্লিশেক শ্রমিক গত তিন দিন কাজও করেন। তবে এ দিন সকালে তাঁরা কাজ করতে গেলে হরিশ্চন্দ্রবাবুর নেতৃত্বে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা গিয়ে কাজে বাধা দেন। এরপরই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কিছু দিন আগে পাঁশকুড়াতেই রানিহাটির কাছে দফায় দফায় কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙেছিল। বাঁধ মেরামতে নামাতে হয়েছিল সেনা। হরিশ্চন্দ্রবাবুর অভিযোগ, কাঁসাইয়ের ঘটনার পরেও ক্ষীরাইয়ের বাঁধ মেরামতির সময় ভাঙা অংশে শুধু মাটির বস্তা ফেলা হচ্ছে। ওই বাঁধ জলের তোড়ে যে কোনও সময় ফের ভেঙে যেতে পারে। তবে, পাকাপোক্ত ভাবে বাঁধ বাধার কাজ শুরু হলে তাঁরা পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের এই স্থানীয় নেতা। |
|
|
|
|
|