হাতে আর মাত্র পাঁচ দিন। পুরভোটের আগে প্রচার পর্বে শেষ ছুটির দিনে তাই রবিবার সকাল থেকে রাত তুমুল তৎপরতায় কাটল সবক’টি রাজনৈতিক দলের। টলিউড তারকা থেকে রাজ্যের প্রথম সারির নেতা প্রচারে দেখা মিলল সকলেরই।
আগামী শুক্রবার হাওড়া পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডে নির্বাচন। কলকাতার পরেই রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই পুরসভার নির্বাচন রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় তিরিশ বছর ধরে এই পুরবোর্ড বামফ্রন্ট দখলে রাখলেও, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এ বার ভোটারদের মন কোন দিকে যাবেতা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। এর মধ্যেই একে একে হাওড়ার সবক’টি বিধানসভা আসন, লোকসভা আসন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামফ্রন্টকে হারানোর পরে তৃণমূল নেতারা পুরভোটেও জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। হাওড়া জেলার তৃণমূল সভাপতি (শহর) অরূপ রায় বলেন, “এ বার আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুরবোর্ড গঠন করতে চলেছি। আমরা নিশ্চিত, মানুষের রায় আমাদের পক্ষেই থাকবে।”
তবে সিপিএম নেত্রী তথা হাওড়ার বর্তমান মেয়র মমতা জায়সবাল বলেন, “নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে হয়, তা হলে বামফ্রন্টই আবার বোর্ড দখল করবে। কারণ গত দু’বছরে মানুষ দেখেছে, তৃণমূল কী করতে পারে।”
এ দিন সকাল থেকেই হাওড়ার বিভিন্ন অলিগলিতে প্রচারে নামেন বামফ্রন্ট ও তৃণমূল নেতা-সমর্থকেরা। পিছিয়ে থাকেনি বিজেপি এবং কংগ্রেসও। মাইক লাগানো ভ্যানে প্রচার থেকে পথসভা, চলে সবই। বেলা দশটা নাগাদ ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে আসেন টলিউড নায়ক হিরণ। তাঁকে দেখতে ভিড় জমে যায়। নিজের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মিছিল করেন তৃণমূলের মেয়র পদপ্রার্থী চিকিৎসক রথীন চক্রবর্তী। সন্ধ্যায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে পথসভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়, রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। দুপুরে উত্তর হাওড়ার ১ থেকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে পদযাত্রা করে বামফ্রন্ট। হাজির ছিলেন জেলা নেতৃত্ব। |