পুলিশকর্তার উপস্থিতিতেই সমাজবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের একাংশের যোগসাজশের অভিযোগ তুললেন খোদ শাসক দলের বিধায়ক। আর তার পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশকর্তা জানালেন, সমাজবিরোধীদের সঙ্গে যদি কোনও পুলিশকর্মীর সম্পর্ক থাকে, তা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সমাজবিরোধী কার্যকলাপের বাড়বাড়ন্ত এবং তোলাবাজির প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে হুগলির ব্যান্ডেল চৌমাথায় একটি সভা করেন ব্যবসায়ীরা। ব্যান্ডেল কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির ডাকে ওই সভায় যোগ দেয় ১৪টি ব্যবসায়ী সংগঠন। উপস্থিত ছিলেন এলাকার তৃণমূল সাংসদ রত্না দে নাগ, বিধায়ক তপন মজুমদার, পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়। ছিলেন চুঁচুড়া থানার আইসি নির্মল যশ। তাঁর সামনেই চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক তপনবাবু বলেন, “খাকি উর্দিপড়া কিছু পুলিশের যোগসাজস রয়েছে মস্তানদের সঙ্গে। আর সেই যোগসাজশেই সমাজবিরোধীরা মস্তানি করছে।” তিনি বলেন, “প্রয়োজনে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজবিরোধীদের ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলুন।” বিধায়কের বক্তব্য খণ্ডন না করেই নির্মলবাবু পরে বলেন, “দুষ্কৃতীদের সঙ্গে কোনও পুলিশকর্মীর যোগসাজস থাকলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এর পরেই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনি বলেন, “ভয়ে বা ভক্তিতে সমাজবিরোধীদের যাঁরা মদত যোগাবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও রাজনৈতিক সমর্থনও যদি এরা পেয়ে থাকে, তাতেও পিছুপা হবে না প্রশাসন।” সমাজবিরোধীদের খবর পুলিশকে দিতে পারলে ইনাম দেওয়া হবে বলেও আইসি ঘোষণা করেন।
ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এলাকার ত্রাস সঞ্জয় পাসোয়ান ওরফে লালার দলবল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের থেকে প্রচুর টাকা তোলা আদায় করছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সমাজবিরোধীদের তোলাবাজির দাপটে তাঁরা অতিষ্ঠ। জেলা সদর চুঁচুড়ায় সমাজবিরোধীমূলক কাজকর্ম চলতেই থাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা সমাজবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। ব্যান্ডেল ছাড়াও রবীন্দ্রনগর, পিপুলপাতি, আদিসপ্তগ্রামের কয়েকশো ব্যবসায়ী ছিলেন। সাধারণ মানুষও এসেছিলেন। |