|
|
|
|
বাবরি ধ্বংসের দিনে পথে তৃণমূলও
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বামেদের মতো বাবরি ধ্বংসের দিনে এ বার ‘সংহতি দিবস’ পালন করতে চাইছে তৃণমূলও। সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী প্রচারের অঙ্গ হিসাবে ৬ ডিসেম্বর এ বার শহিদ মিনার ময়দানে প্রকাশ কারাট, এ বি বর্ধনদের এনে সমাবেশ করবে বামেরা। তার ঢিল ছোড়া দূরত্বে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ওই দিনই সভা করার পরিকল্পনা নিচ্ছে তৃণমূল ‘যুবা’। যেখানে তারা অতিথি হিসাবে চায় তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বাবরি ধ্বংসের বার্ষিকীতে সচরাচর বিশেষ কোনও কর্মসূচি দেখা যায় না তৃণমূলের। বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের শাসক দলকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে বামেরা। সেই প্রেক্ষিতে লোকসভা নির্বাচনের মরসুমে ‘যুবা’কে সামনে রেখে তৃণমূলের ৬ ডিসেম্বর কর্মসূচি পালন করতে চাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ‘যুবা’র মঞ্চে সভার পরিকল্পনা হলেও ওই দিন দলের সব শাখা সংগঠনই উপস্থিত থাকতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রের ইঙ্গিত।
লোকসভা ভোটে ‘যুবা’র কর্মীদের আরও সক্রিয় করে তুলতে রবিবার তৃণমূল নেতৃত্ব মহারাষ্ট্র নিবাসে বৈঠকে বসেছিলেন। ভোটের প্রস্তুতিতে তাদের দিশা দেখাতে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ যুবা কর্মীদের দলীয় শৃঙ্খলার অনুশাসন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বুঝিয়েছেন, রাজনৈতিক বোধসম্পন্ন যুবাদেরই দলে গুরুত্ব দেওয়া হবে। দলনেত্রীর ছবি ছাড়া আর কারও ছবি ব্যবহার না-করার নির্দেশও ফের জারি করা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে।
কোনও রকম ঔদ্ধত্য বা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে এমন কোনও কাজ থেকে ‘যুবা’কে বিরত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় পতাকার যাতে কোনও রকম অসম্মান না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পার্থবাবু। |
|
|
|
|
|