|
|
|
|
পুরসভার মধ্যে থেকেও নেই বাস-অটোর রুট, ক্ষুব্ধ পাঁড়দহি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
পুর এলাকার অন্তর্গত হলেও যাতায়াতের কোনও মাধ্যম নেই। বাস বা অটো ধরতে যেতে হয় দেড়-দু’কিলোমিটার দূরে। অথচ, প্রতিদিনই এলাকার মানুষজনকে শহরে আসতে হয় নানা কাজে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাস বা অটো চলাচলের উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকলেও কোনও রুট নেই তাঁদের এলাকায়। ফলে, হেঁটে বা সাইকেল-মোটরবাইকে চড়ে পৌঁছতে হয় কাছাকাছি বাসস্ট্যান্ডে।
দুর্গাপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে এই পাঁড়দহি গ্রামের পাশেই তৈরি হচ্ছে একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ। অথচ, যাত্রী পরিবহণের কোনও মাধ্যম নেই। বাসিন্দারা জানান, এই গ্রাম ও তার লাগোয়া এলাকায় প্রায় হাজার ছয়েক লোকের বাস। শহরের নানা জায়গায় যেতে হলে তাঁদের প্রায় দু’কিলোমিটার পথ হেঁটে বাস বা অটো ধরতে হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে অনেককেই দুর্গাপুরের নানা এলাকায় যেতে হয়। কিন্তু যাতায়াতেই অনেক সময় লেগে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা আশুতোষ মণ্ডল জানান, তাঁদের গ্রাম থেকে বাস বা অটো ধরতে হলে যে কোনও দিকেই দেড় কিলোমিটারের বেশি পথ হাঁটতে হয়। তিনি আরও জানান, গ্রামের পশ্চিম দিকে হরিবাজার প্রায় দেড় কিমি দূরে। সেখান থেকে জেমুয়া হয়ে দুর্গাপুর স্টেশনের বাস পাওয়া যায়। আবার সিটি সেন্টার, বেনাচিতি বা প্রান্তিকা যেতে হলে দক্ষিণ দিকে প্রায় দু’কিমি হেঁটে গভর্নমেন্ট কলেজ মোড়ে বাস বা অটো ধরতে হয়। আবার পূর্ব দিকে ইস্পাতনগরীর ভারতী মোড় থেকে শহরের নানা প্রান্তে যেতে বাস বা অটো ধরতে হয়। তার দূরত্বও দেড় কিমির বেশি। আশুতোষবাবু বলেন, “আমাদের এলাকায় বাস বা অটো চলার মতো পরিকাঠামো থাকলেও কেন প্রশাসনের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না তা বুঝতে পারছি না।” একই অসুবিধায় পড়তে হয় বাইরে থেকে আসা আত্মীয়-স্বজনদের। তেমনই এক জন বাঁকুড়ার সোনামুখি থানার বনগ্রামের গৃহবধূ রেখা ভুঁই এসেছিলেন বাপের বাড়িতে। তিনি বলেন, “সেই ইস্পাতনগরীর ভারতী মোড় থেকে হেঁটে আসছি। পুর এলাকা হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও ভালো হয়নি।” রেখাদেবীর মতো অসুবিধায় পড়ার কথা জানিয়েছেন সাধন মণ্ডল। তিনি জানান, অনেকেই যাতায়াতের অসুবিধার জন্য এখানে আসতে চান না। এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর দীপঙ্কর লাহা জানান, এই অসুবিধা নিয়ে তিনি মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “পুরসভার তরফে বারবার, এই এলাকায় বাস বা অটোর পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বাস বা অটো সংগঠনগুলি সে ভাবে আমাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না।” |
|
|
|
|
|