ক্যামেরনের তদন্তের হুমকি ওড়াল শ্রীলঙ্কা
সংবাদ সংস্থা • কলম্বো |
যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে শ্রীলঙ্কা সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক তদন্তের হুমকি দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এবং দিলেন শ্রীলঙ্কার মাটিতে বসেই। শনিবার কলম্বোয় কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক সাংবাদিক বৈঠকে ক্যামেরন বলেন, “মার্চের মধ্যে শ্রীলঙ্কা যদি নিজস্ব তদন্ত শেষ না করতে পারে, তা হলে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশন মারফত আর্ন্তজাতিক তদন্তের ডাক দেবে ব্রিটেন।” ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই হুমকি উড়িয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সরকারের দাবি, কোনও রকম চাপের মুখে নতি স্বীকার করা হবে না। এ হেন তদন্তের কোনও প্রয়োজনই নেই। কয়েক ঘণ্টা আগে, শুক্রবার রাতেই কিন্তু ক্যামেরন বৈঠক করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের সঙ্গে। বৈঠক শেষে ক্যামেরন জানান, এলটিটিই-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়ে শ্রীলঙ্কা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ ছিল, মানবাধিকারের প্রশ্নে তার ফলপ্রসূ, স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন। কথা হয়েছে উত্তর শ্রীলঙ্কার যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন ও ঘরহারা তামিলদের পুনর্বাসন নিয়েও। এমনকী ক্যামেরন এ-ও জানিয়েছিলেন, তদন্ত শেষ করার জন্য কিছুটা সময় চেয়েছে রাজাপক্ষে সরকার। কারণ, মাত্র চার বছর হল, তিন দশকের গৃহযুদ্ধ শেষে শান্তি ফিরেছে শ্রীলঙ্কায়।
পুরনো খবর: যুদ্ধাপরাধ নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন কলম্বোতেই, বার্তা ক্যামেরনের
|
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কটে উদ্বিগ্ন হাইকমিশনার
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঢাকা |
ভোটের আগে বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থী শক্তিগুলির বাড়বাড়ন্ত ও আস্ফালনে ভারত উদ্বিগ্ন। ঢাকার বাসাবো-র বৌদ্ধ মন্দিরে ভারত সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় তৈরি পাঠাগার ও ডাইনিং হলের উদ্বোধন করে শনিবার এ কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সারন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সঙ্কটের বিষয়টি বাংলাদেশের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত চায় এই সমস্যা দ্রুত নিরসন হোক। কারণ, এই পরিস্থিতির সুযোগে বিদেশি একটি গুপ্তচর সংস্থা সক্রিয় হয়েছে। তাদের প্রত্যক্ষ মদতেই কট্টরপন্থীরা ফুলেফেঁপে উঠছে যা খুবই উদ্বেগের। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক মতভেদের যে খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় পঙ্কজ সারনকে। তিনি বলেন, পড়শি বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা চায় নয়াদিল্লি। সে জন্যই তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনায় বসেছে। এই আলোচনা এখন কোন পর্যায়ে, এই প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন এখনই তা বলা যাচ্ছে না। |