টুকরো খবর
ব্যাঙ্ক, দোকানে লুঠেও যুক্ত বিহারের দুষ্কৃতীরা
মালদহের রতুয়ার দেবীপুরে ব্যাঙ্ক লুঠে জড়িত দুষ্কৃতী দলটি সামসি এলাকায় কয়েকদিন আগে সোনার দোকানে লুঠ চালায় বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে। কালীপুজোর দিন ভরদুপুরে সামসিতে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। দুষ্কৃতীরা বিহারের বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পারলেও তাদের ধরতে পারেনি পুলিশ। কিন্তু সামসিতে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে দুপুরে ওই লুঠপাটের পর পুলিশ তাদের হদিস না পাওয়ায় দলটি বেপরোয়া হয়ে ব্যাঙ্ক লুঠের পরিকল্পনা করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বৃহস্পতিবারের ব্যাঙ্কের ঘটনায় ধৃত ৭ জনকে দীর্ঘ জেরায় তারা ওই ঘটনাতেও জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিন ধৃত ৭ দুষ্কৃতীকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাঁদের ৩ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। ধৃতরা বিহারের গৌরীপুর এলাকর। এদের মধ্যে নিখিল সাউ নামে বিএ প্রথম বর্ষের এক কলেজ ছাত্রও রয়েছে। বাকি দুষ্কৃতীরা হল, মিঠুন চৌধুরী, তসলিম শেখ, সরবন চৌধুরী, অজিত মণ্ডল, মিঠুন মণ্ডল ও জীবন মণ্ডল। মিঠুন চৌধুরী ও তসলিম শেখ দলের পাণ্ডা। মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মখোপাধ্যায় বলেন, “সামসিতে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় এই দলটিই জড়িত বলে দুষ্কৃতীরা স্বীকার করেছে। তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিহারের কাটিহারের গৌরীপুর এলাকার পাশাপাশি দুটি গ্রাম নয়াটোলা ও ইলামনগরের বাসিন্দা দুষ্কৃতীরা। ওই দুষ্কৃতীদের বয়স গড়ে ২০ থেকে ২৫ বছর। তসলিম শেখের বয়স ৩৫ বছর। ব্যাঙ্ক লুঠের পর দলটি বিহারে ঢোকার চেষ্টা করছিল। পুলিশ এবং বাসিন্দাদের জন্য তা সম্ভব হয়নি। ব্যাঙ্কের ঘটনাটির মতই কালীপুজোর দিন সামসিতেও বাইকে এসে সোনার দোকান থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকার অলঙ্কার লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। সামসির ঘটনার পর রতুয়া থেকে ফুলহার বাঁধের রাস্তা ধরে হরিশ্চন্দ্রপুর হয়ে বিহারে ঢুকে পড়েছিল দলটি। দেবীপুরে বাইকে চেপে এসে ব্যাঙ্ক লুঠের পরও একই ভাবে ফুলহার বাঁধের রাস্তা ধরেই বিহারের পথ ধরেছিল দুষ্কৃতী দলটি।

সম্প্রীতির মহরম
শোকে আকুল মানুষ যখন তাজিয়া নিয়ে কারবালা মাঠের দিকে এগিয়ে যান, দুপাশে ভিড় করেন নানা সম্প্রদায়ের মানুষ। মহরমের মিছিলে যোগ দেন হিন্দুরাও। শ্রদ্ধার পাশাপাশি তাজিয়া পারাপার করে প্রার্থনাও করেন। কয়েকশ বছর ধরে এ ভাবেই সম্প্রীতির মহরম পালিত হয় মালদহের রতুয়ার পরাণপুরে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকালে নাদাবপাড়া থেকে দুটি তাজিয়া বেরোয়। সেই তাজিয়াকে সাজিয়ে তোলার কাজ করেন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। কারবালা মাঠে তাজিয়া পৌঁছলে হয় লাঠিখেলা।

৬৯টি মোষ আটক
পাচার করা হচ্ছে সন্দেহে ফের গাড়ি ভর্তি মোষ আটক করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে বক্সিরহাট থানার সঙ্কোশ সেতু লাগোয়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি ছোট গাড়িতে বিহার থেকে ৬৯টি মোষ অসমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে, গাড়ি সহ মোষগুলি আটক করা হয়। ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতেরা সকলেই অসমের বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছে। মোষ নিয়ে যাওয়ার বৈধ নথিপত্র মেলেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে। অসম হয়ে মোষগুলিকে বাংলাদেশে পাচারের ছক কষা হয়েছিল বলে পুলিশের সন্দেহ।

মসজিদে আগুন
মাথাভাঙ্গার এক মসজিদে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়াল। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় জামি মসজিদের একটি ছাত্রাবাসে। মূলিবাঁশের বেড়া দেওয়া ঘরটিতে ঘটনার সময় কেউ ছিল না। কয়েকজন ছাত্র ওই ঘরটিতে থাকত বলে ছাত্রাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে। দুটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন আয়ত্তে আনে।

মালদহে গঙ্গার পাড়ের গ্রামে দুষ্কৃতী-পুলিশ লড়াই
সন্ধ্যা নাগাদই গঙ্গার চরে এসে অপেক্ষা করছিল বিহার থেকে আসা সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের একটি দল। চরে সারা দিন ঘাস কেটে ফেরার পথে তাদের দেখে ফেলেন মালদহের সাকুল্লাপুরের কয়েকজন দিনমজুর। নদী পেরিয়ে এসে তাঁরা সে কথা তুলে দেন পুলিশের কানে। ফাঁদ পাতে পুলিশও। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গঙ্গা লাগোয়া সাকুল্লাপুরের সামনেই বড় বাহিনী নিয়ে তাদের জন্য অপেক্ষা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ দুষ্কৃতী দল গ্রামে ঢুকতেই শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের লড়াই। রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত গঙ্গার পাড়ে গুলির লড়াইয়ের পরে দুষ্কৃতীরা পিছু হঠে। পুলিশের দিকে গুলি বোমা ছুড়তে ছুড়তে যন্ত্রচালিত বড় নৌকা করে নদী পেরিয়ে বিহারেই পালায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু মালদহের পুলিশকর্তারা ততক্ষণে বিহার পুলিশকে খবর পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাই নদীর ওপারেও পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। বিহারের আমদাবাদ থানার পুলিশ দুই দুষ্কৃতীকে সেই রাতেই গ্রেফতারও করেছে। তারা দু’জনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত। দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় আহত হয়েছেন মালদহের চার পুলিশকর্মীও। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দুষ্কৃতীদের বোমার আঘাতে চার পুলিশকর্মী সামান্য জখম হয়েছেন। পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে দুই দুষ্কৃতী। সে কথা বিহার পুলিশ আমাদের জানিয়েছে। ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেতে আমাদের একটি দল বিহারে যাচ্ছে।” পুলিশ জানিয়েছে, সাকুল্লাপুরের কয়েকজন স্বচ্ছল ব্যবসায়ীর বাড়িতেই ডাকাতি করার পরিকল্পনা করেছিল ওই দুষ্কৃতীরা। তারা দলে অন্তত ২০ জন ছিল। দলটি নৌকা থেকে নেমে নদীর পাড়ে জড়ো হতে যে সময় লাগে, ততক্ষণে অন্ধকারের মধ্যে পুলিশের দল তাদের ঘিরে ফেলে। তা বুঝতে পেরে দুষ্কৃতীরাও গুলি এবং যথেচ্ছ বোমা ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরাও। গ্রামবাসীদের দাবি, অন্তত ১০০ রাউন্ড গুলি চলেছে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫০-৬০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। পুলিশকর্মীরা ১০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া ৪২টি তাজা বোমা, দু’টি পাইপগান, ৮ টি হাঁসুয়া, ৬ রাউন্ড খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

হস্টেলে বোমা
কোচবিহার আইটিআই কলেজের হস্টেলের দিকে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল। ছাত্রদের দাবি, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ একদল দুষ্কৃতী হস্টেলের পাঁচিল লক্ষ করে বোমা ছোড়ে। তবে কেউ হতাহত হননি। পুলিশ জানায়, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.