একটি রাস্তা বেহাল এক যুগেরও বেশি সময় ধরে, অন্যটি দু’বছর ধরে। দুটি রাস্তার পিচের চাদর উঠে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত! মালদহে হরিশ্চন্দ্রপুরের গুরুত্বপূর্ণ ওই দুটি রাস্তা দীর্ঘদিন যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়লেও তা না সারানোয় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চূড়ান্ত ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ক্ষুব্ধ হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক ফব-র তজমূল হোসেনও। রাস্তা দুটি সারানোর দাবি জানিয়ে বিধানসভায় সরব হওয়া ছাড়া সংশ্লিষ্ট দফতরের দুই মন্ত্রীরও দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। |
মহানন্দা বাঁধের পয়খানা মোড় থেকে বারোদুয়ারি
যাওয়ার রাস্তা। প্রায় ১০ কিলেমিটার রাস্তা বেহাল। |
দুটি রাস্তার একটি মহানন্দা বাঁধের পয়খানা মোড় থেকে বারোদুয়ারি ১০ কিলোমিটার পথ। দ্বিতীয়টি হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন থেকে চাঁচলগামী রাস্তার ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগ পর্যন্ত আড়াই কিমি রাস্তা। প্রথম রাস্তাটি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের যোগাযোগের অন্যতম সড়ক। রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব সেচ দফতরের মহানন্দা এমব্যাঙ্কমেন্টের। অন্যটি ব্লক, স্টেশন, থানা সহ চাঁচল যাওয়ার একমাত্র সড়ক, পূর্ত দফতরের অধীন। বিধায়ক বলেন, “রাস্তা দুটি বেহাল থাকার জন্য হরিশ্চন্দ্রপুরবাসীকে প্রতিনিয়ত নাকাল হতে হচ্ছে। অথচ দফতরের কর্তাদের হেলদোল নেই। অগস্ট মাসে বিধানসভায় সরব হওয়া ছাড়াও পূর্ত ও সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সমস্যা জানিয়েছি। প্রত্যেকেই আশ্বাস দিয়েছেন। দেখা যাক কী হয়!” |
হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন থেকে চাঁচলে যাওয়ার রাস্তা।
বেহাল এই রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই কিলোমিটার। |
বাসিন্দারা জানিয়েছেন বারোদুয়ারি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সামনে থেকে পয়খানা মোড় পর্য়ন্ত রাস্তায় ভাকুরিয়া, মিহাহাট, তেলজান্না, কুমেদপুর-সহ অন্তত ৫০ গ্রামের মানুষ হরিশ্চন্দ্রপুর যাতায়াত করেন। রাস্তা এতটাই বেহাল যে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
মহানন্দা এমব্যাঙ্কমেন্ট সূত্রে জানা যায় যে, ১০ কিলোমিটার রাস্তা এতই বেহাল যে তা নতুন করে সংস্কার করতে হবে। সে জন্য খরচ হবে ৫ কোটি টাকা। বিধায়ক দফতরের মন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার পরেই মন্ত্রীর নির্দেশে জেলা সেচ দফতরের তরফে ওই রাস্তা পরিদর্শন করা হয়। এক আধিকারিক জানান, রাস্তা তৈরি করতে কত টাকা খরচ হবে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর পাওয়ার হাউস মোড় থেকে জাতীয় সড়ক শুরু হয়েছে। সেখান থেকে চাঁচলগামী রাস্তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু পাওয়ার হাউস মোড় থেকে উল্টো দিকে হরিশ্চন্দ্রপুরগামী রাস্তাটি স্টেশন পর্য়ন্ত যাতায়াতের অযোগ্য। এ ছাড়া নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি পড়লেই থানা, বাস স্ট্যান্ডের সামনের রাস্তা কার্য়ত জলাশয়ে পরিণত হয়।
মহকুমা পূর্ত দফতরের সহকারী বাস্তুকার সৌমিত্র সেন বলেন, “আড়াই কিলোমিটার রাস্তার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ করা হবে। থানার সামনে ২৫০ মিটার রাস্তা উঁচু করে কংক্রিট দিয়ে তৈরি করার পরিকল্পনা হয়েছে।” |