নেই রোগী সহায়তা কেন্দ্র, বঞ্চিত উপভোক্তারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
বছর দু’য়েক আগে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালকে জেলা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গঠন হয়নি রোগী সহায়তা কেন্দ্র। ফলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েও দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী রোগীরা রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার আওতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সম্প্রতি প্রশাসন থেকে চাপ দেওয়া হলেও এখনও তা কার্যকর করা হয়নি। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “মাস খানেক আগে রামপুরহাট মহকুমাশাসককে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত চালু করার জন্য বলা হয়েছে। কত দূর কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা প্রকল্প চালু করার প্রস্তুতি চলছে। শীঘ্রই চালু করা যাবে বলে জানিয়েছেন মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায়।
একই অবস্থা বোলপুর মহকুমা হাসপাতালেও। ওই প্রকল্প চালু করার জন্য কোনও রকম সরকারি নির্দেশ এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে আসেনি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার প্রদীপ মজুমদার। তবে ইতিমধ্যে সিউড়িতে প্রকল্পটি চালু হলেও এর থেকে কী ভাবে কী কী সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন, সে সম্বন্ধে এখনও অনেকেই জানেন না বলে সদর হাসপাতাল সুপার অসিত বিশ্বাস জানিয়েছেন। এর ফলে অনেকে ভর্তি হওয়ার সময় সঙ্গে করে তাঁদের কার্ড নিয়ে আসছেন না বা চিকিৎসার জন্য তাঁরা কত টাকা পেতে পারেন তাও জানেন না। অসিতবাবু বলেন, “এর জন্য আরও বেশি করে প্রচার দরকার।”
এ দিকে, রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালকে জেলা হাসপাতাল করার পরেও শয্যা সংখ্যা ৫০০-র জায়গায় ২৮৬ তেই থেকে গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নতি করা দরকার। কিন্তু কেন এমন অবস্থা? রামপুরহাটের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমানাথ মাড্ডি বলেন, “সদর হাসপাতালের চেয়েও রামপুরহাট হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশি। এখানে আরও বেশি চিকিৎসক আরও বেশি নার্স, কর্মী দরকার।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্তিক মণ্ডল বলেন, “হাসপাতালের বিষয়ে সঠিক তথ্য পরিবেশন করতে গেলে ওখানে একটি রোগী সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশ এসেছে। নিয়ম মাফিক রামপুরহাট মহকুমা সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতাল সুপারকে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনার কাজ চালু করার জন্য রোগী সহায়তা কেন্দ্র না থাকলে হবে না। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। সে ব্যাপারে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানি। ওই সংস্থা থেকে নিযুক্ত লোকেরা রোগী সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে অন্যান্য কাজের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনার কাজগুলি করবে।” |