জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের টিকাকরণ দক্ষিণ দিনাজপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
জাপানি এনসেফেলাইটিস রোগে রুটিন টিকাকরণ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হল দক্ষিণ দিনাজপুর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত দুবছর থেকে এ জেলায় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। সমীক্ষার পর উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কাজল মন্ডল বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশে জেলায় জাপানি এনসেফ্যালাইটিস রোগের রুটিন টিকাকরণ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলা ও ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি থেকে শিশুদের অন্য রোগ প্রতিষেধকের সঙ্গে এ বার থেকে নিয়মিত জাপানি এনসেফ্যালাইস রোগ প্রতিরোধে টিকাকরণ করা হবে।’’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ৯ থেকে ১২ মাস এবং ১৬ থেকে ২৪ মাস বয়সী সমস্ত শিশুকে সরকারী স্বাস্থ্য ইউনিট থেকে টিকাকরণ কর্মসূচী চালু হচ্ছে। পাশাপাশি রোগ সচেতনার প্রচারও চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকবছর ধরেই দক্ষিণ দিনাজপুরে এনসেফেলাইস রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। প্রতি বছর ওই রোগে আক্রান্ত কয়েকজনের মৃত্যু হচ্ছিল। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, গতবছর বালুরঘাট হাসপাতালে পরপর ৭ জনের মৃত্যুর পর পরীক্ষায় জাপানি এনসেফেলাইটিস রোগের হদিশ মেলে। ওই সময় ৩১ জন ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপরই দিল্লির স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশে মাদুরাই থেকে এক পরীক্ষক দল জেলার কুমারগঞ্জ-সহ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে জাপানি এনসেফেলাইটিস রোগের জীবানু বহনকারী মশার হদিশ পান। গত বছরের নভেম্বরে জেলাজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পঞ্চায়েত অফিসে একদিনের শিবির করে ১ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু কিশোরদের জাপানি এনসেফেলাইটিস রোগের টিকাকরণ করা হয়।
কিন্তু বালুরঘাট শহর সহ ব্লকগুলিতে মশা নিধনে পুরসভা, পঞ্চায়েত ও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ততপরতার অভাবে চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ফের জেলায় ওই রোগের প্রকোপ দেখা দেয় বলে অভিযোগ। বালুরঘাট, কুমারগঞ্চ, তপন, গঙ্গারামপুর ব্লকগুলি থেকে এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে বাসিন্দারা বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানায়, এবছর অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্য ওই রোগে ২৭ জন আক্রান্ত হন। সরকারিভাবে মৃত্যু সংখ্যা বছরেও ৭ জন। বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিতেও ওই রোগে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। |