রাজ্যের জন্য বাড়তি বরাদ্দ ও দাবিদাওয়া পেশ করতে চতুর্দশ অর্থ কমিশনের মুখোমুখি হচ্ছে বামেরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থ কমিশনের কাছে বাড়তি বরাদ্দের দাবি জানিয়ে এসেছেন বৃহস্পতিবার। এর পরে বিরোধী বামেদের পালা। হিডকো দফতরেই আজ, শনিবার রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তের নেতৃত্বে বামফ্রন্টের প্রতিনিধিদল কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছে।
কয়লার রয়্যালটি বাবদ বকেয়া পাঁচ হাজার কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি কেন্দ্রের কাছে বামেদের বহু দিনের। তার সঙ্গেই এ বার আরও কিছু দাবি তাঁরা অর্থ কমিশনে জানাবেন বলে শুক্রবার শরিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনায় ঠিক করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। রাজ্য থেকে আদায় হওয়া করের ৫০% রাজ্যকেই ফেরত দেওয়ার দাবি আগেই তোলা হত। এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতাও যে দাবি তুলেছেন। কিন্তু বামেরা এ বার তার সঙ্গে আরও ৫% বাড়তি বরাদ্দের দাবি জানাতে চাইছে। পঞ্চায়েত ও পুরসভার মাধ্যমে যে অর্থ খরচের প্রস্তাব দিতে চায় তারা। বন্দর বাঁচানোর স্বার্থে ফরাক্কা থেকে নীচের দিকে গঙ্গার ড্রেজিং-এর জন্য কেন্দ্রীয় ভর্তুকি অনুমোদন করার দাবি বাম প্রতিনিধিরা তুলবেন। দাবি তোলা হবে গঙ্গার ভাঙন মোকাবিলায় সহায়তার জন্যও। রাজনৈতিক সূত্রের ব্যাখ্যায়, লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের স্বার্থে আরও বেশি করে কেন্দ্রের কাছে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীকে টেক্কা দেওয়া বামেদের লক্ষ্য। তবে এক বাম নেতার মন্তব্য, “প্রতিযোগিতায় যদি রাজ্যেরই ভাল হয়, ক্ষতি কী!” |
গ্রামে সকলকে সমবায়ে চায় রাজ্য |
রুগ্ণ ও বন্ধ সমবায়গুলিকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গেই গ্রামাঞ্চলের সব বাসিন্দাকে সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁদের মাথাপিছু চাঁদা বাবদ ২৫০ টাকা মিটিয়ে দেবে সরকার। শুক্রবার মহাজাতি সদনে সমবায় সপ্তাহের এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান সমবায় দফতরের পরিষদীয় সচিব জ্যোতির্ময় কর। ওই দফতরের এক কর্তা জানান, ব্যাঙ্কঋণ পাওয়া, কম দামে চাষের সরঞ্জাম কেনা-সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেতে কৃষকদের সাহায্য করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমবায়মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর বক্তব্য, পেশাদারিত্বের অভাবে এবং দুর্নীতির জন্যই বেশ কিছু সমবায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কৃষি সমবায় মার খেলে প্রান্তিক চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। কারণ, চাষিরা সমবায় থেকে ঋণ, বীজ ও সার পান। পরিষদীয় সচিব জানান, প্রায় এক হাজার সমবায় সংস্থা ধুঁকছে বা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এলাকার বিভিন্ন সমবায়কে এক ছাতার তলায় আনা হবে বলে জানান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সমবায় ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আশিস চক্রবর্তী। ওই সব সমবায়কে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথাও ভাবছে সরকার। সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত লোকেদের পেশাদারিত্ব বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হবে। |
মদন-বেশ
|
দেখলে যে কেউ বলতেই পারেন যেন সাক্ষাৎ মদনদেব! এই পোশাকেই শুক্রবার দিনভর দেখা গিয়েছে রাজ্যের পরিবহণ
মন্ত্রী মদন মিত্রকে। সকালে কামারহাটির কাছে ২৩০ বাসস্ট্যান্ডে একটি অনুষ্ঠানে বাসকর্মী ও জুটমিল কর্মীরা পরিয়ে দিয়েছিলেন
এই পাগড়ি। তার পরে সেই পাগড়ি মাথায় কামারহাটিতে তাজিয়ার মিছিল, বেলঘরিয়ায় পড়ুয়াদের
বই দেওয়ার অনুষ্ঠান,
নেতাজি ইন্ডোরে অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধন পেরিয়ে ক্ষুদিরাম অনুশীল কেন্দ্রে এক কুস্তি প্রতিযোগিতার আসরে গিয়ে বাড়তি পাওনা
গলার মালা। এ সাজ এতটাই পছন্দ হয়েছিল যে শেষমেশ সন্ধ্যায় রাজস্থানিদের এক অনুষ্ঠানেও সে ভাবেই গেলেন মন্ত্রী। মদনবাবু
অবশ্য বলছেন, “পাগড়ি পরিয়ে আমাকে কসম খাওয়ানো হয়েছিল, সারাদিন যেন এটা পরেই থাকি। তাই সেটাই করলাম।
রাজস্থানিরাও পাগড়ি, কুর্তা-পাজামার এই পোশাকে অভ্যস্ত। তাই আর পাগড়ি খুলিনি।” ছবি: সুদীপ আচার্য। |
|