|
|
|
|
|
|
|
নাটক সমালোচনা... |
|
মঞ্চগানের পরম্পরায় আবারও আলিবাবা |
বিশ শতকের সাতের দশক। মঞ্চে ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদের ‘আলিবাবা’। মুস্তাফা কাঁপা গলায় বলে ওঠে ‘খোদা, একটা টাকা পাইয়ে দে, আট আনার সরাব, দু’আনার জলপাই, চার পয়সার চানাচুর আর চার আনার বিস্কুট কিনে খাই।’ সমবেত হাততালিতে অভিনন্দিত হলেন মুস্তাফার ভূমিকায় উত্তমকুমার। এই ‘আলিবাবা’র প্রথম অভিনয় ১৯৯৭-এর ২০ নভেম্বর। পরিচালক অমরেন্দ্রনাথ দত্ত। নাটকের পূর্ণ-রূপ নির্বাক সিনেমায় প্রতিষ্ঠা দেন অমর-বান্ধব হীরালাল সেন ১৯০৪ সালে। ১৮৯৮ থেকেই অমর-হীরার যুগলবন্দিতে ছবিতে রূপ পেয়েছে ভ্রমর-আলিবাবা-হরিরাজ-সীতারাম-দোললীলা নাটকের টুকরো টুকরো দৃশ্য। নীরব ছবির সঙ্গে ‘ক্লাসিক’ রেকর্ডে বাজত মঞ্চগানের সুর। |
|
আজ ভারত যখন সিনেমা শতবার্ষিকীতে উদ্বেল তখন কেন হারিয়ে যাবে ‘হিন্দু পেট্রিয়টে’র বিজ্ঞাপনে প্রকাশ ১০০ নয়, হীরালালের ক্যামেরায় সিনেমার মহরত ঘটেছিল ১১৫ বছর আগে খণ্ড দৃশ্যের আর ১০৯ বছর আগে পূর্ণ কাহিনির? সবাক যুগে আবারও ‘আলিবাবা’ মঞ্চ আর সিনেমায় আলোড়ন তোলে বসু পরিবার মধু-সাধনার কৃতিত্বে। মূল উদ্যোক্তা এবং মঞ্চগানের প্রবীণ শিল্পী দেবজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “এভাবেই বিশ শতকের গোড়া থেকেই থিয়েটারি কেতার মঞ্চগানে বারবার আন্দোলিত হয়েছে বাংলা সিনেমা।” যেমন? শিশির ভাদুড়ির নির্মাণে মঞ্চের ‘চন্দ্রগুপ্ত’ হয়েছে সিনেমার ‘চাণক্য’। মঞ্চের গান সেখানেও সিনেমার আধার। ‘শেষ উত্তর’ সিনেমায় কানন দেবীর গানে নজরুলের মঞ্চগানের ছায়া। শচীনদেব বর্মনের সুরে ‘জননী’ নাটকের গান ছুঁয়েছে মুম্বই সিনেমার ‘অনুরাগ’কে। এমনকি মঞ্চের ‘অ্যান্টনি কবিয়ালের’ প্রতিরূপেই সিনেমার ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’। এত দিন পরে সেই সব অনুভূতি ফিরছে ৬ ও ৭ ডিসেম্বর, অ্যাকাডেমিতে দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনা ও নির্মাণে। |
|
|
|
|
|