উন্নয়নের ছোঁয়া তেমন একটা লাগেনি ঘূর্ণি এলাকায়। আসন্ন পুরভোটের মুখে এলাকাবাসীদের তাই সোচ্চার। কৃষ্ণনগর পুর সভার মূলত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি ঘূর্ণিতে একটু ঢুঁ মারলেই চোখে পড়ে ওই তল্লাটের অনুন্নয়নের ছবিটা। কৃষ্ণনগরের বাকি অংশের তুলনায় উন্নয়নের নিরিখে বেশ বেমানান এই এলাকা।
হরেক কিসিমের সমস্যার মধ্যে এলাকার ভগ্নপ্রায় নিকাশী ব্যবস্থা নিয়ে লোকজন রীতিমতো তিতিবিরক্ত। নিকাশি নালার কোনও বালাই না থাকায় ফি বছর রাস্তা উপরেই হাঁটু জল জমে যায়। ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাধন বিশ্বাস একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন “বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায়, বাড়ির উঠোনে জল জমে। জল বার হওয়ার কোনও রাস্তা নেই। ফলে দিনের পর দিন সেই জল জমে থাকে। |
মানুষকে সেই জমা জলের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।’’ এই বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার দরুণ জল সরতে না পারায় এবং নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কার না হওয়ায় জমা জলে মশা নিরাপদ আস্তানা পাতে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কুনাল সান্যাল বলেন, “এমনিতে কৃষ্ণনগর শহরে বেশ মশার উৎপাত। তার উপর নর্দমার জমা জল পরিষ্কার না করার জন্য ঘূর্ণিতে তা মাত্রাছাড়া।” এই বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পুরকর্তারাও। তবে তাঁদের সাফাই, এলাকায় বর্ষার জল বের হওয়ার কোনও রাস্তা নেই। এলাকার কয়েকটি ছোট বড় পকুরই যা ভরসা। তাই শত চেষ্টাতেও হাইড্রেন করে বর্ষার জল বার করা যাচ্ছে না। পুর প্রধান তৃণমূলের অসীম সাহা বলেন, “ঘূর্ণিতে নিকাশি ব্যবস্থা তেমন ভাবে গড়ে তোলা যায়নি। কারণ, এই এলাকায় জল বার হওয়ার কোনও রাস্তা নেই। ফলে হাইড্রেনও তৈরি করা যায় নি।” |
তাঁর সংযোজন, “ঘরামিপাড়ার একটি বিশালাকৃতি পুকুরে বর্ষার সময় গোটা ঘূর্ণির জল ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলাম। পুকুরটির মালিকের সঙ্গে কথাবার্তাও শুরু করেছিলাম। কিন্তু এরই মাঝে এলাকার ঠিকাদাররা সেই পুকুর কিনে নেন।” নিকাশি ব্যবস্থার পাশাপাশি এলাকার নানুষের মনে ক্ষোভ আছে অনিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার করা নিয়েও। এলাকায় রাস্তায় উপর উপচে পড়েছে জঞ্জাল। এর ফলে এলাকায় তৈরি হয়েছে অস্বাস্থ্যকর এক পরিবেশ। স্থানীয় বাসিন্দা কুনাল সান্যাল বলেন, “প্রায় সারা বছরই যদুনাথ লেনে আমার বাড়ির কাছে জঞ্জাল ডাঁই হয়ে পড়ে থাকে। দুর্গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত। পুরসভাকে এ বিষয়ে বারবার বলেও কোনও লাভ হয় না।” |