টুকরো খবর
কুড়ি বনাম দুই
গত এক সপ্তাহে ২০টিরও বেশি প্রচারসভা করেছে তৃণমূল। দলের শীর্ষনেতা-মন্ত্রীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অরণ্যশহর। আর বামেদের প্রচারসভা হয়েছে মাত্র দু’টি। এই তুলনা টেনে বামেদের বেহালদশা নিয়ে হাসাহাসি করছেন তৃণমূল কর্মীর একাংশ। তৃণমূলের পোড় খাওয়ারা অবশ্য বলছেন, বামেদের খাটো করে দেখাটা অনুচিত। শুক্রবার সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার ঝাড়গ্রামে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠক করেন। ফেরার পথে দীপকবাবুর মুখে এদিন প্রত্যয়ী হাসি দেখা গিয়েছে। তাহলে কী অন্য রকম কিছু আশা করছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর প্রবীণ সদস্য? সূত্রের খবর, সিপিএমের ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল কার্যালয়ে বৈঠক করে দীপকবাবু এ দিন শহর নেতাদের সর্বশক্তি দিয়ে প্রচারে ঝাঁপাতে বলেছেন। লোক দেখানো পথসভার পরিবর্তে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার চালানোর উপর জোর দিতে বলেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক। অন্য দিকে, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী ফাল্গুনী মাণ্ডিকে তৃণমূলের লোকজন হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। প্রচারে যাওয়া কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে বলে এ দিন রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদল এ দিন রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান।

ঘনশ্যাম-প্রদীপ তরজা
ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ঘনশ্যাম সিংহ পেশায় ব্যবসায়ী। এলাকায় পরিচিত মুখ। শুক্রবার বস্তি এলাকায় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার করছিলেন ঘনশ্যামবাবু। হাতজোড় করে ঘনশ্যামবাবু ভোটারদের বলছেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী। আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।” প্রচারসঙ্গী তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষও প্রার্থীকে দেখিয়ে ভোটারদের জানাচ্ছেন, “উনি একেবারে ঠিক কথা বলছেন। অন্য কারও কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। ঘনশ্যামবাবুই কৃষ্ণের মতো আপনাদের উদ্ধার করবেন। আপনাদের আঁধার ঘোচাবেন। প্রদীপের এলাকায় তো কেবলই আঁধার। উন্নয়ন হয়েছে কই?” তাই প্রদীপ নেভানোর ডাক দিয়ে জোর প্রচার করছেন তৃণমূল কর্মীরা। এই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী প্রদীপ সরকারের সমর্থনে বামেরাও পাল্টা প্রচারে বলছেন, “প্রদীপ নেভালে কিন্তু আঁধার নামবে।” নির্মলবাবুর পাল্টা কটাক্ষ, “নিষ্প্রদীপের আবার আলো কী?” সূত্র বলছে, বস্তি এলাকার মহার্ঘ ভোট পেতে মরিয়া সব পক্ষই।

সাধের লাউ বানাইল...
হেমন্তের বিকেলে তৃণমূল প্রার্থীর হাতে লাউ। সঙ্গীদের হাতে কচি লাউডাঁটা। বাড়ি-বাড়ি ভোট প্রচারে ব্যস্ত লাউ হাতে প্রার্থীকে দেখে বেনাগড়ের দু’এক জন কৌতুহল চাপতে পারলেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ভোটপ্রার্থীকে দেখে বিগলিত গেরস্তেরা মাচার ডাঁটা-লাউ ধরিয়ে দিয়ে বলছেন, “খেয়ে দেখবেন, জ্যাঠামশাই। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।” ভালবাসার দান ফেরাতে পারছেন না পুরসভার বিদায়ী বিরোধী দলনেতা আনন্দমোহন পণ্ডা। নিজের ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় এবার সিপিএমের ক্ষমতায় থাকা ওয়ার্ডে দাঁড়িয়ে ‘অভূতপূর্ব জনসমর্থন’ পাচ্ছেন আনন্দমোহনবাবু। ঠোঁটকাটা বাম-নিন্দুকেরা অবশ্য বলছেন, “উৎকল-ব্রাহ্মণটি লাউ খেয়ে আবার বৈরাগী হয়ে যাবেন না তো?”

বিরসা মুণ্ডার জন্মজয়ন্তী
শহিদ বিরসা মুণ্ডার ১৩৮তম জন্মজয়ন্তী পালিত হল যথাযোগ্য মর্যাদায়। শুক্রবার সরকারি ভাবে মূল অনুষ্ঠানটি হয় গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের খামার আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। উদ্যোক্তা ছিল, পশ্চিমবঙ্গ তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং লোক সংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র, ঝাড়গ্রাম শাখা। স্বাধীনতা আন্দোলনে বিরসা মুণ্ডার অবদান সম্পর্কে আলোচনা করেন বিশিষ্ট জনেরা। পরিবেশিত হয় আদিবাসী ও লোক সংস্কৃতির অনুষ্ঠান। মুণ্ডারি গানের সংকলন নিয়ে সরকারি অর্থানুকুল্যে তৈরি একটি অডিও সিডির উদ্বোধন করেন বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো। ছিলেন মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কুশল চক্রবর্তী, গোপীবল্লভপুর-২এর বিডিও প্রণবেশ মণ্ডল প্রমুখ।

দুর্ভোগের বারমাস্যা
—নিজস্ব চিত্র।
আন্দোলন চলছে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। পঞ্চায়েত থেকে জেলা প্রশাসন সর্বত্রই ধর্না দিয়েছে এলাকাবাসীর তৈরি করা ‘কমিটি’। ব্যাখ্যা করেছেন সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা। কিন্তু, আশ্বাসই সার! ঘাটালের মনসুকায় ঝুমি (বাঁ দিকে) এবং দাসপুরের কলমীজোড়ে কংসাবতীর উপর স্থায়ী সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়নি এখনও। এর জেরে নিত্য দুর্ভোগে পড়েন কৃষক, পড়ুয়া থেকে নিত্যযাত্রীরা। ওই দুটি এলাকাই কৃষি প্রধান হওয়ায় কৃষকরা বেশি ভাড়া দিয়ে নৌকা করে, অথবা নদীতে নেমে জল পার হয়ে বাজারে আসেন। রাত-বিরেতে প্রসূতি বা কেউ জটিল রোগের শিকার হলে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছয়। ‘কলমীজোড় ব্রিজ আন্দোলন কমিটি’র পক্ষে তারাপদ পাত্র বলেন, “আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। দেখা যাক কবে সেতু তৈরি হয়।” শেষ দেখতে চান মনসুকা-সহ সংলগ্ন কিশোরচক, দৌলতচক, বনহরিসিংহপুর এবং হুগলির ঠাকুরানিচক, ঘোষপুর, কুলাটের অধিবাসীরাও।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.