|
|
|
|
দত্তকে অগ্রাধিকার ভারতীয় দম্পতিকে, জানাল আদালত |
সংবাদ সংস্থা • মুম্বই |
ভারতে শিশু দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় দম্পতিদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করল বম্বে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানিয়েছে, ২০১১ সালে এই বিষয়ে নির্দেশিকা চালু করা হয়েছিল। রাজ্যের দত্তক সংক্রান্ত সংস্থা ‘স্টেট অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি’ (এসএআরএ) ও ‘অ্যাডপশন রেকমেন্ডেশন কমিটি’-র ওই নিয়ম মেনে চলা উচিত।
পুণের একটি অনাথ আশ্রমে একটি মেয়েকে দত্তক নিতে চেয়েছিলেন ওই শহরের এক দম্পতি। এসএআরএ-র সুপারিশেই তাঁদের ওই মেয়েটিকে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু অনাথ আশ্রম তাঁদের জানায়, আগেই ওই মেয়েটিকে দেখে গিয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী এক দম্পতি। পুণের দম্পতিকে ওই মেয়েটি দেওয়া সম্ভব নয়। তার পরে মেয়েটিকে চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই দম্পতি।
পুণের বাসিন্দা ওই স্বামী-স্ত্রী-র আর্জি অবশ্য এ যাত্রা খারিজ করেছে বিচারপতি ভি এম কানাড়ে ও বিচারপতি এস সি গুপ্তের বেঞ্চ। বিচারপতিদের মতে, এ ক্ষেত্রে যে হেতু প্রবাসী দম্পতি আগে শিশুটিকে দেখে দত্তক নিতে চেয়েছেন তা-ই তাঁদেরই অগ্রাধিকার দিতে হবে। ছ’মাসের মধ্যে ওই শিশুর দত্তক সংক্রান্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। অবশ্য পুণের দম্পতিও বঞ্চিত হননি। ছ’ সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের আর একটি শিশুকে দেখাতে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
কিন্তু দত্তক সংক্রান্ত সংস্থাগুলি নিয়মকানুন মেনে না চলায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। বেঞ্চের মতে, ভারতীয় দম্পতিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি ২০১১ সালের নির্দেশিকায় স্পষ্ট ভাবেই বলা আছে। কোনও শিশুকে দত্তক দিতে হলে তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে যত বেশি সম্ভব ভারতীয় দম্পতিকে ডাকতে হবে। তাঁরা কেউ রাজি না হলে তবেই প্রবাসী ভারতীয় বা বিদেশিদের কথা ভাবা যেতে পারে।
কোর্ট জানিয়েছে, কোনও শিশুকে দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে দ্রুত সুপারিশ করার কথা ‘অ্যাডপশন রেকমেন্ডেশন কমিটি’-র। সাধারণ শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় ১৫ দিন। শিশুর বিশেষ কোনও যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন থাকলে পাঁচ দিনের মধ্যেই সুপারিশ করার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
বেঞ্চের মতে, অনাথ আশ্রমে বেশি দিন থাকলে শিশুর উপরে যে খারাপ মানসিক প্রভাব পড়ে তা-র কথা সবাই জানেন। সে জন্যই দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে ২০১১ সালের ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। আশা ছিল, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিশুর ভালমন্দের কথা মাথায় রেখে দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। |
|
|
|
|
|