|
|
|
|
দেশ বেচার চেয়ে চা বেচা ভাল, কটাক্ষ মোদীর |
সংবাদ সংস্থা • রায়গড় |
কংগ্রেস ও রাহুল গাঁধীকে চিরাচরিত আক্রমণ তো ছিলই, সেই সঙ্গে জবাব দিলেন সমাজবাদী পার্টির (সপা) নেতা নরেশ অগ্রবালকেও। লতা মঙ্গেশকরের পাশে দাঁড়িয়ে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেন সনিয়া-মনমোহনকেও। ছত্তীসগঢ়ের রায়গড়ে এ ভাবেই সব প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিশানা করে তীর নিক্ষেপ করলেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রদেশের অন্য একটি সভায় ইউপিএ-সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী আবার মোদীকে ঠেস দিয়ে বললেন কোনও কোনও বিজেপি নেতা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখেছেন। আর বাকিরা ব্যস্ত একে অপরের সঙ্গে লড়াইয়ে।
সম্প্রতি সপা নেতা নরেশ অগ্রবাল মন্তব্য করেছেন, মোদীর মতো এক জন চা বিক্রেতা কখনও দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন না। শুক্রবার জনসভায় এর জবাবে মোদী বলেন, “দেশের জনগণই ঠিক করবেন, এক জন চা বিক্রেতা প্রধানমন্ত্রী হবেন কি না। ইউপিএ তো গোটা দেশটাকেই বেচে দিচ্ছে! দেশকে বেচে দেওয়ার চেয়ে বরং চা বিক্রি করা ভাল।”
কেন্দ্রীয় প্রশাসন ঠুঁটো হয়ে পড়েছে অভিযোগ করে মোদী এ দিন বলেন, “কংগ্রেস নেতাদের এখন আর কোনও কাজ নেই। তাঁরা শুধু টিভির সামনে বসে থাকেন। দেখেন নরেন্দ্র মোদী কী করছে আর কী বলছে।” এ দিনও সনিয়ার অসুস্থতা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মোদী। বলেন, “ম্যাডাম আপনি অসুস্থ। এ বার তাই শাহজাদা (রাহুল গাঁধী)-র হাতে সমস্ত দায়িত্ব তুলে দিন।” সম্প্রতি সনিয়া অভিযোগ করেছিলেন, ছত্তীসগঢ়ে কোনও কাজ হয়নি। এর জবাবে মোদী বলেন, “ম্যাডাম, এখানে আসার আগে একটু খোঁজখবর নিয়ে আসবেন। যদি আপনার কাছে তথ্য না থাকে, তা হলে মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁর কাছ থেকে সব কিছু জেনেশুনে, তার পরে এখানে আসুন।”
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের জনসভায় সনিয়ার নিশানাও ছিলেন মোদী। নাম না করে তিনি বলেন, “বিজেপি মনে করছে ক্ষমতায় তারা এসেই গিয়েছে। তাদের কোনও কোনও নেতা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখছে। আর বাকিরা একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে।” সনিয়া বলেন, “ওদের কথার ফুলঝুরিতে ভুলে ফাঁদে পা দেবেন না। কথার তুবড়িতে দেশ চলে না।”
গাঁধী পরিবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদেরও সুকৌশলে আক্রমণ করতে ছাড়েননি মোদী। রাহুলের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পিছিয়ে পড়া এলাকায় উন্নতি না হওয়ার জন্য আপনি সব সময় দেশের ব্যবস্থাকে দায়ী করেন। কিন্তু কার সময় দেশের ব্যবস্থা ঠিক ছিল, আপনার বাবার সময়, আপনার ঠাকুরমার সময় না আপনার ঠাকুরমার বাবার আমলে? তাঁরাই তো দেশ শাসন করেছেন অধিকাংশ সময়ে।”
লতা মঙ্গেশকর সম্প্রতি একটি সভায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি মোদীকে দেখতে চান। তার জবাবে মুম্বই কংগ্রেসের প্রধান জনার্দন চন্দুরকর বলেছেন লতার ভারতরত্ন কেড়ে নেওয়া উচিত। মোদী বলেন, “কিংবদন্তী গায়িকার প্রতিও সম্মান দেখায় না কংগ্রেস। কংগ্রেস দলটাই উদ্ধত ও অহংকারী।” তাঁর প্রশ্ন, লতার কি নিজের ইচ্ছা প্রকাশেরও অধিকারটুকুও নেই?”
মোদীকে নিয়ে সপা নেতা নরেশ অগ্রবালের মন্তব্যের প্রতিবাদ না করায় কংগ্রেসকে এ দিন এক হাত নিয়েছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর অভিযোগ,শরিকরা তো বটেই, মোদীর সমালোচনা করতে গিয়ে কংগ্রেসও অনেক সময়ে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। |
|
|
|
|
|