পরপর দু’দিনে তিনটি ছিনতাই। একটি লেক টাউনে, একটি সার্ভে পার্কে, আর একটি কাশীপুর থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে লেক টাউনের এস কে দেব রোডের বাসিন্দা, পেশায় একটি সংস্থার ডিস্ট্রিবিউটার বাপি নাগ বিভিন্ন দোকান থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি লেক টাউন থানায় অভিযোগ জানান, আদ্যনাথ সাহা রোডে তাঁর টাকার ব্যাগ ছিনতাই হয়। বাপিবাবু বলেন, “একটি ট্রলিতে চেপে আমি বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎই একটি মোটরবাইক সামনে এসে দাঁড়ায়। ওই বাইকে বসা দুই যুবক আমার টাকার ব্যাগটা চায়। আমি তা দিতে অস্বীকার করলে ওরা আমার মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে মেরে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালায়। আমার ব্যাগে ৭০ হাজার টাকা ছিল।” বাপিবাবু জানিয়েছেন, ঘটনার সময়ে রাস্তা ফাঁকা ছিল। তাই তিনি চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সার্ভে পার্কের বাসিন্দা ইলোরা বসুর হার ছিনতাই হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ইলোরাদেবী যাদবপুরের সেন্ট্রাল পার্কে কাজ সেরে রিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, তখনই একটি ট্যাক্সি এসে তাঁর রিকশার পাশে দাঁড়ায়। তিন যুবক নেমে তাঁর গলার সোনার হার টেনে নিয়ে ট্যাক্সিতে উঠেই চম্পট দেয়। ইলোরাদেবী কোনও রকমে ট্যাক্সির নম্বরটি মুখস্থ করে নিয়েছিলেন। পরে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ট্যাক্সির নম্বর জেনে পুলিশ প্রথমে ট্যাক্সিটির চালক চন্দ্রশেখর মাহাতোকে (৩২) গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ওই ট্যাক্সির চালক জানিয়েছেন, তিন যুবক তাঁকে আগে থেকেই ভাড়া করেছিল। সেন্ট্রাল পার্কে পৌঁছে তারা তাঁকে গতি কমাতে বলে। চালকের কাছ থেকে বিবরণ নিয়েই পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম সঞ্জিৎ দাস ওরফে হুলো, তারক সরকার এবং আতিউর রহমান। তিন জনেরই বয়স চব্বিশ থেকে পঁচিশের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্য ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায়। পুলিশ জানায়, ওই সন্ধ্যায় সুস্মিতা ভর নামে এক মহিলা ছেলেকে নিয়ে কাশীপুর থানার প্রামাণিক ঘাট এলাকার একটি খেলনার দোকানে আসেন। অভিযোগ, তিনি দোকান থেকে বেরোতেই এক যুবক তাঁর পিছু নেয় এবং সুযোগ বুঝে তাঁর গলা থেকে সোনার হার টেনে নিয়ে চম্পট দেয়। সুস্মিতাদেবী সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শুরু করলে রাস্তায় স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তাঁরাই ওই যুবককে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। পরে কাশীপুর থানা থেকে পুলিশ এসে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম অবিনাশকুমার রাই (১৮)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, অবিনাশ ওই এলাকায় এর আগেও বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। দু’টি ক্ষেত্রেই ছিনতাই হওয়া সোনার হার দু’টি উদ্ধার হয়েছে। |