শহরের কথা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পুরনো কলকাতার ইতিহাসের নানা গল্প শোনালেন প্রসার ভারতীর সিইও জহর সরকার। শুক্রবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে ‘কিউরিয়াস টেলস ফ্রম ক্যালকাটা’স পাস্ট’ শীর্ষক একটি বক্তৃতায় তিনি এ বিষয়ে আলোচনা করেন। শহরের গড়ে ওঠার ইতিহাস, শহরের বিভিন্ন রাস্তার নামের নেপথ্যের গল্প উঠে আসে তাঁর বক্তৃতায়। কলুটোলা, কসাইটোলা, আহিরীটোলার মতো বিভিন্ন এলাকার নামে কী ভাবে জড়িয়ে আছে শহরের বিভিন্ন পেশার মানুষের জীবনযাত্রা তা নিয়েও ইতিহাসের গল্প বলেন তিনি। দীর্ঘকাল ধরে কলকাতার ইতিহাস বিষয়ে চর্চা করছেন জহরবাবু। কিছু দিন আগে সেন্ট জন’স চার্চেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন তিনি। |
সল্টলেকে সুলতানের বাড়ি থেকে গাড়ি চুরি |
যখন পুলিশ ছিলেন, বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল না-খেলেও চোর-ডাকাতেরা তাঁর দাপটে তটস্থ থাকত। কিন্তু পুলিশের চাকরি থেকে সুলতান সিংহের অবসরের পরে বাড়ি থেকে তাঁরই গাড়ি নিয়ে চম্পট দিল চোর! পুলিশ জানায়, সল্টলেকের এফ-ই ব্লকের বাসিন্দা, প্রাক্তন পুলিশকর্তা ও বর্তমানে তৃণমূল বিধায়ক সুলতান সিংহের বাড়ি থেকে গাড়ি চুরি গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে। একে বিধায়ক, তায় প্রাক্তন পুলিশকর্তা! এ-হেন ভিআইপি-র গাড়ি চুরির তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনও সূত্র পাননি। নানা ধরনের অপরাধ বাড়তে থাকায় সল্টলেকের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। এ বার খোদ বিধায়কের বাড়ি থেকে গাড়ি চুরির ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতার ছবিটা ফের বেআব্রু হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিধাননগরের বাসিন্দারা। বিধায়ক সুলতান রাজ্য ভূতল পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যানও। নিগমই ওই টাটা ইন্ডিগো গাড়িটি চেয়ারম্যানকে দিয়েছিল। বাড়ির চৌহদ্দিতেই ফাঁকা জায়গায় সেটি শিকল দিয়ে বাঁধা থাকত। সুলতান জানান, রোজই তিনি প্রাতর্ভ্রমণে বেরোন। এ দিন সকালে উঠে তিনি দেখেন, গাড়িটি নেই। তা হলে কি রাতেই গাড়ি নিয়ে পালিয়েছে চোরেরা? পুলিশ বলছে, ওই এলাকায় নিয়মিত টহল চলে। এ দিন ভোর ৪টে নাগাদও টহলের সময় রক্ষীরা গাড়িটি দেখেছেন। তাই ভোরবেলাই চুরি হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। সল্টলেকে এমন ঘটনা নতুন নয়। দুর্গাসপ্তমীতে বিচিত্রা আবাসনের একটি বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধ গৃহকর্তা ও তাঁর মেয়েকে মারধর করে চোরেরা। সেই ঘটনায় কেউ ধরা পড়েনি। পুজোর পরে পরেই এক বৃদ্ধার গলার হার ছিনতাই হয়েছিল। |
কলকাতা সফরে বিজেপি-র অমিত |
নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তাবিত ব্রিগেড সমাবেশের আগে কলকাতায় আসছেন তাঁরই ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা তথা গুজরাতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ নভেম্বর রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে রাজ্য বিজেপি-র সভায় অমিত বক্তৃতা করবেন। তার পর কয়েক জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে চা-চক্রে এবং রাতে নৈশভোজে মিলিত হবেন অমিত। পর দিন তাঁর দক্ষিণেশ্বর এবং বেলুড় মঠ ঘুরে দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা। গুজরাত সংঘর্ষের নানা মামলায় অভিযুক্ত, বিজেপি-র বিতর্কিত নেতা অমিতের নেতৃত্বে ৩০ তারিখের সভা থেকেই এ রাজ্যে দলের লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু হবে। রাজ্যে বিজেপি যে ১০০টি জনসভা করার কর্মসূচি নিয়েছে, তারও সূচনা হবে অমিতের সভা দিয়েই। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের কথায়, “নরেন্দ্র মোদীর আগে আমরা ছোট মোদী অমিত শাহকে কলকাতায় আনছি!” রাহুল বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি হয়ে ২০০৯ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন। সে দিন বন্ধ সফল করার জন্য বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। তার পর থেকে প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর দলের ‘উত্থান দিবস’ পালন করার জন্য কোনও না কোনও কর্মসূচি নিয়ে থাকে রাজ্য বিজেপি। এ বছর ৩০ নভেম্বর সেই কর্মসূচিই মোদীর সফরের প্রস্তুতি সভা হয়ে উঠছে। |
তরুণীকে কটূক্তি, দুই যুবক ধৃত |
মোটরবাইকে চড়ে এক তরুণীকে কটূক্তি করার অভিযোগে দু’টি যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম মহম্মদ আরশাদ ও মহম্মদ জাহিদ। ওই তরুণী বুধবার রাতে প্রেসিডেন্সি জেলের সামনে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই ওই দুই যুবক তাঁর পাশে গিয়ে কটূক্তি করে বলে অভিযোগ। তরুণী প্রতিবাদ করায় গালিগালাজ বেড়ে যায়। তাঁর চেঁচামেচিতে লোকজন ছুটে আসেন। বেগতিক বুঝে দুই যুবক মোটরবাইক ফেলে চম্পট দেয়। আলিপুর থানায় অভিযোগ জানান ওই তরুণী। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। |