ওয়াটগঞ্জ
জেটির জমি মিলল মিটবে জলসঙ্কট
বশেষে ওয়াটগঞ্জে বড় জেটি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমি দিতে রাজি হলেন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। ছোট জেটির জন্য এত দিন ওয়াটগঞ্জ জলপ্রকল্প থেকে পানীয় জলের জোগান প্রয়োজনের তুলনায় কম ছিল। ফলে সংলগ্ন এলাকায় জলসঙ্কট হত। তাই বড় জেটির প্রয়োজন ছিল বলে কলকাতা পুরসভার সূত্রে খবর।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৩-এ ওয়াটগঞ্জ জলপ্রকল্পের শিলান্যাস হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জেটি তৈরির জন্য জমি চেয়েছিলেন কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষ। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় জমি না দেওয়ায় বড় জেটি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। ছোট জেটি তৈরি করে কাজ চালানো হচ্ছিল। ফলে জলের জোগান ছিল কম। ২০০৬-এ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন।
পুরসভা সূত্রে খবর এত দিন পরে বন্দর কর্তৃপক্ষ বড় জেটির জন্য প্রয়োজনীয় জমি দিতে রাজি হয়েছেন।
ওয়াটগঞ্জ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।
কিছুদিনের মধ্যেই এখানে কাজ শুরু হবে। কাজ শেষ করতে সময় লাগবে প্রায় দু’বছর। কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বামফ্রন্ট আমলে কোনওরকম পরিকল্পনা ছাড়াই এই জলপ্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছিল। তার ফলেই এই সমস্যা। জেটির জন্য প্রস্তাবিত জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আমরা পুরসভায় ক্ষমতায় আসার পরেই কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জমির জন্য বার বার অনুরোধ করেছি। অবশেষে ছাড়পত্র মিলেছে।” বন্দর কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক বলেন, “বন্দর এলাকায় তক্তাঘাটে জেটি তৈরির জন্য পুরসভাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল বিভাস মাইতি বলেন, “বড় জেটি তৈরি হলে জলের জোগান বাড়বে।” দক্ষিণ কলকাতার ওয়াটগঞ্জ, খিদিরপুর, কবিতীর্থ, ইকবালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রতি দিন ৫০ লক্ষ গ্যালন জল সরবরাহের জন্য ২০০১-এ তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ডই এই প্রকল্পটি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, এই পরিমাণ পানীয় জল সরবরাহের জন্য হুগলী নদী থেকে রোজ প্রায় ৭০ লক্ষ গ্যালন অপরিশোধিত জল তোলার কথা। এই জল ওয়াটগঞ্জ ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পরিশোধন করার পরে ৭৫, ৭৬, ৭৭, ৭৮, ৭৯ এবং ৮০ নম্বর ওয়ার্ডে সরবরাহ করার কথা ছিল।
এই জল সরবরাহের জন্য বড় জেটির প্রয়োজন। কিন্তু বড় জেটির জন্য যে জায়গার দরকার তা না থাকায় বড় জেটি তৈরি করা যায়নি। তাই ট্রিটমেন্ট প্লান্ট লাগোয়া একটি ছোট জমিতে জেটি তৈরি করে
কাজ চালানো হয়। ছোট জেটিটি যেখানে রয়েছে সেখানে ভাটার সময়ে জল তুলতে সমস্যা হয়। তাই প্রয়োজনের তুলনায় কম জল পরিশোধিত হয়। পুরসভার জল দফতরের সমীক্ষা অনুযায়ী, ওয়াটগঞ্জ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে প্রতি দিন ৩০ লক্ষ গ্যালন পরিশোধিত জল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের বেলকিস বেগমের অভিযোগ, “ওয়াটগঞ্জ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ প্রয়োজনের তুলনায় কম। এর জন্য বিশেষ করে, গ্রীষ্মকালে জল সঙ্কট চরমে ওঠে। সঙ্কট মেটাতে পুরসভা নতুন জেটি তৈরির প্রস্তাব দিলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি। বিষয়টি আমি পুরসভার অধিবেশনেও তুলেছিলাম।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.