বোলপুরের একমাত্র মহিলা কলেজ পূর্ণিদেবী চৌধুরী মহিলা মহাবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানকে ঘিরে সংবাদমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির মানুষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুললেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় তারই প্রতিবাদে বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক সোমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলেজের অধ্যক্ষ সুনীলবরণ মণ্ডলকে নিয়ে লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে ওই কলেজেরই পরিচালন সমিতির সভাপতির পদে থাকা সোমনাথবাবু অভিযোগ করেন, ওই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে কয়েক জনকে ডাকা ও না ডাকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এই খবর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “যাঁরা অপপ্রচার করছেন, তাঁদের বলছি, নারীশিক্ষার প্রচার ও প্রসারের জন্য তৈরি এই শিক্ষা মন্দিরকে কলুষিত করবেন না। এটা শিক্ষাঙ্গন, দয়া করে একে রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিণত করবেন না।”
গত শনিবারই ওই কলেজের প্রস্তাবিত বিজ্ঞান ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠান ছিল। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিজ্ঞান ভবনের জন্য রাজ্যসভার সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি ৫০ লক্ষ, শ্যামল চক্রবর্তী ৩০ লক্ষ এবং তপন সেন ২৫ লক্ষ টাকা তাঁদের সাংসদ তহবিল থেকে কলেজের জন্য আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। সেই বিজ্ঞান ভবনের শিলান্যাস উপলক্ষে ওই সাংসদদের কলেজের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমন্ত্রিতদের মধ্যে থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। সাংবাদিকদের সোমনাথবাবু জানান, ওই অনুষ্ঠানে চন্দ্রনাথবাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। সীতারামবাবু ও তপনবাবুও আসতে না পারার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা জেলাশাসককেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তিনি ব্যস্ত থাকতেই পারেন। তা বলে তিনি যে আসতে পারবেন না, তা জানানোর প্রয়োজনটুকুও বোধ করেননি।” পরে তিনি যোগ করেন, “এই কলেজ নারীশিক্ষার প্রচার ও প্রসারে উদ্যোগী। খুব দুঃখ লাগছে, বিশেষ কোনও রাজনৈতিক নেতাদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন স্তরে অপপ্রচার করা হচ্ছে। দয়া করে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।” |