|
|
|
|
ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, তবু অমিল সুপরিষেবা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
রোগীদের আরও ভাল স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নীত করা হয়েছিল। কিন্তু তার পর দু’বছর কেটে গিয়েছে। ক্যানিং-১ ব্লকের ঘুটিয়ারিশরিফ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোর আজও কোনও উন্নতি হয়নি।
২০১০ সালের ২৪ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-১ ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নীত করা হয়। এই নিয়ে এক নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর। ঠিক হয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে ১০ শয্যা থেকে ৩০ শয্যায় পরিবর্তিত করা হবে। কিন্তু সে সবই খাতায় কলমেই থেকে গিয়েছে। তারপর একটুকুও কাজ এগোয়নি। অভিযোগ, অনেক সময়েই পাওয়া যায় না অ্যান্টি র্যাবিট বা অ্যান্টি-ভেনাম ভ্যাক্সিন। প্রসূতি বিভাগে নেই সিজারের ব্যবস্থাও। পিএইচসি থেকে বিপিএইচসিতে উন্নীত হওয়ার দু’বছর পরও পরিকাঠামো বা পরিষেবা কোন কিছুরই উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দা সালাউদ্দিন মল্লিক, নিরঞ্জন মণ্ডলরা বলেন, “ওখানে গেলে ঠিকমত পরিষেবা পাওয়া যায় না। অধিকাংশ রোগীকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। রাতে প্রসূতিদের নিয়ে গেলে অনেক সময়ই অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়।” |
ঘুটিয়ারিশরিফ
যা হবে কথা ছিল
• ১০ শয্যা থেকে ৩০ শয্যা
• এসএনসিইউ |
|
ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, খাতায় কলমে ৫ জন চিকিৎসক থাকলেও আছেন ৩ জন। এছাড়া রয়েছেন ৫ জন নার্স এবং এক জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। যা এখানকার প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। তা ছাড়া এখানে নেই ফার্মাটিস্ট, সাফাইকর্মী। সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ) বা সিক নিউ বর্ন স্টেবিলাইজেশন ইউনিট (এসএনএস ইউনিট) হওয়ার কথা থাকলেও আজও তা হয়নি।
সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ তরুণ মণ্ডল পরিদর্শন করতে এসেছিলেন এই হাসপাতাল। স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ সাংসদ হলেন, “ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নীত করার কথা বলা হলেও পরিকাঠামোগত কোনও উন্নতিই এখানে হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমি স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলব।”
বিএমওএইচ ফটিক মণ্ডল বলেন, “কিছু সমস্যা থাকলেও তার মধ্যেই রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সমস্যাগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম দাস মালাকার বলেন, “ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে ৩০ শয্যা করার কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে। অন্যান্য সমস্যাও খতিয়ে দেখে যাতে তার দ্রুত সমাধান করা যায় তার চেষ্টা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|