|
|
|
|
আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল |
ছানি অস্ত্রোপচার বন্ধ, দুর্ভোগে রোগীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
লেন্স মজুত না থাকায় দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে ছানি অস্ত্রোপচার বন্ধ আরামবাগ হাসপাতালে। প্রতিদিনই হাসপাতাল থেকে ঘুরে যাচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ-বিক্ষোভও চলছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে প্রতি মাসে গড়ে ২৫-৩০ জনের ছানির অস্ত্রোপচার হয়। শীতকালে পরিসংখ্যানটা বাড়ে। গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে শেষবারের মতো ছানি অস্ত্রোপচার হয়। তার পরে তহবিলের অপ্রতুলতার জন্য লেন্স কেনা যাচ্ছে না, এই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে রোগীদের খালি নাম লিখে রাখা হচ্ছিল এবং প্রতি সপ্তাহে লেন্স এসেছে কিনা খোঁজ নিতে বলা হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে আবার রোগীদের নাম লেখাও বন্ধ। বহির্বিভাগ থেকেই তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগেই লেন্স কেনার জন্য ওই হাসপাতালে তহবিল পাঠানো হয়। হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তণিমা মণ্ডল বলেন, “লেন্সের জন্য তহবিল পাঠানো হয়েছে আগেই। তার পরেও কেন এই অচলাবস্থা তা খতিয়ে দেখা হবে। কারও গাফিলতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হাসপাতালের সুপার নির্মাল্য রায় বলেন, “গাফিলতির প্রশ্ন নেই। শীঘ্রই লেন্স আনার চেষ্টা হচ্ছে।”
হাসপাতালে ছানি অস্ত্রোপচারের জন্য আসা রোগীদের সিংহভাগই দুঃস্থ পরিবারের। তাঁদের মধ্যে আরামবাগ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বছর ষাটেকের সুনীত দাস বেশ কিছু দিন ধরে হাসপাতাল থেকে ঘুরে যাচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, “একটি মহকুমা হাসপাতালে দু’মাস ধরে ছানি কাটানো বন্ধ, এ রকম পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি। লেন্স না থাকার কথাও কখনও শোনা যায়নি। সুপারকে বহুবার বিষয়টি বলা সত্ত্বেও তাঁর কোনও হেলদোলই নেই। ফলে আমার মতো অনেককেই ভুগতে হচ্ছে।”
আরামবাগের তিরোলের সখীবালা মণ্ডল বলেন, “কবে যে ছানি অপারেশন হবে বুঝতে পারছি না। এ বার চোখটাই না নষ্ট হয়ে যায়। লেন্স আনার ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদাসীন।” প্রায় একই রকম অভিযোগ তুলেছেন পুড়শুড়ার রাউতাড়ার বিনয় দাস বা খানাকুলের ঘোষপুরের আমিনা বিবির মতো বেশ কিছু রোগী। |
|
|
|
|
|