গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে দমকল মন্ত্রী ঘটা করে কুমারগ্রাম ব্লকে বারবিশায় দমকল কেন্দ্রের শিলান্যাস করেছিলেন। প্রায় তিন বছর কেটে গেলেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। চালু হয়নি দমকল কেন্দ্র। এই নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে কুমারগ্রাম রোডে বারবিশা ব্যবসায়ী সমিতির দেওয়া দুই বিঘা জমির উপর বারবিশা দমকল কেন্দ্র গড়ার কাজ শুরু হয়। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাজের জন্য ৬৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। পূর্ত দফতর নির্মাণের কাজ শুরু করে। প্রথম দফায় ১৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। দ্বিতীয় দফার টাকা আসতে দেরি হওয়ায় নির্মাণের কাজ প্রায় এক বছর বন্ধ থাকে। ফের কাজ শুরু হলেও ধীর গতিতে কাজ হওয়ায় বাসিন্দারা রীতিমত ক্ষুব্ধ।
পূর্ত দফতরের কামাখ্যাগুড়ির সহকারী নির্বাহী বাস্তুকার সঞ্জয় ভকত বলেন, “ঠিকাদারের বিল সক্রান্ত কিছু সমস্যা হওয়ায় নির্মাণ ধীর গতিতে চলছিল। সে সমস্যা মিটেছে। ৪ মাসের মধ্যে নির্মাণের কাজ শেষ করা যাবে।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “দ্রুত যাতে দমকল কেন্দ্র তৈরি করার কাজ শেষ করে দমকল কেন্দ্রটি চালু করা যায় সেই চেষ্টা হবে।”
বাসিন্দাদের অভিযোগ, কুমারগ্রাম, বারবিশা, কামাখ্যাগুড়ি এলাকায় আগুন লাগলে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ৪০ কিমি দূর থেকে দমকল বাহিনী আসার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করতে গত কয়েক দশক ধরে বারবিশায় একটি দমকল কেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে সরব হন বারবিশা ব্যবসায়ী সমিতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-সহ এলাকার বাসিন্দারা। ঘটা করে দমকল কেন্দ্রের শিলান্যাস হওয়ার পর বাসিন্দারা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, এ বার দমকল কেন্দ্র গড়ে উঠবে। কিন্তু প্রায় তিন বছর পরেও সে আশা পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। বারবিশা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কার্তিক সাহা বলেন, “এক বছরে ব্লকে ২০টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আলিপুরদুয়ার শহর থেকে দমকল পৌঁছনোর আগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর পরেও বারবিশায় দমকল কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে।” কুমারগ্রাম বিধায়ক দশরথ তিরকে জানান, এই ব্যাপারে শীঘ্রই দমকল মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দ্রুত টাকা বরাদ্দের দাবি জানাব। |