পিচের চাদর উঠে গোটা রাস্তায় বড় বড় গর্ত। ঘটছে দুর্ঘটনা। শামুকতলা থেকে চেপানি চৌপথি ৩১ সি জাতীয় সড়ক পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ থেকে তৈরি করা ৬ কিমি পাকা রাস্তা এমন বেহাল হয়ে পড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, ৫ বছর আগে এই রাস্তাটি জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ নতুন করে নির্মাণ করে। কিন্ত এতটাই নিম্ন মানের কাজ হয় যে, বছর ঘুরতে না ঘুরতে তা ভাঙতে শুরু করে। এখন তো গোটা রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্ত। বারবার দাবি জানালেও রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়নি। দ্রুত রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু না করা হলে লাগাতার আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন বাসিন্দারা। এই নিয়ে আন্দোলন করার হুমকি দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিও।
এ নিয়ে জলপইগুড়ি জেলা পরিষদ সভাধিপতি নূরজাহান বেগম বলেছেন, “পুজোর আগে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন দফতরে রাস্তা নির্মাণের জন্য দু’কোটি টাকার পরিকল্পনা পাঠানো হয়। অনুমোদন মেলে। টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়েছে। যাতে দ্রুত কাজ শুরু হয়, সে ব্যাপারে যোগাযোগ করা হবে।” |
৩১সি জাতীয় সড়ক। ছবি: রাজু সাহা। |
স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সাধন পাল ও সজল মোচারি বলেন, “এই রাস্তার উপর নির্ভর করে থাকেন মহাকালগুড়ি, শামুকতলা, কোহিনুর, রায়ডাক, তুরতুরি খণ্ড-সহ ৭টি পঞ্চায়েতের ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ। তাঁদের কামাখ্যাগুড়ি, কুমারগ্রাম, বারবিশা ও অসমের সঙ্গে যোগাযোগের এটাই সহজ রাস্তা। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মেরামত করবার কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না জেলা পরিষদ। দফায় দফায় রাস্তা মেরামতের দাবিতে সরব হয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রয়োজনে পথ অবরোধ সহ লাগাতার আন্দোলনে নামা হবে।”
এই প্রসঙ্গে বিডিও সজল তামাং জানিয়েছেন, “রাস্তা বেহাল হওয়ায় বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আশা করি শীঘ্রই সমস্যা মিটবে।”
শামুকতলা নাগরিক মঞ্চ সভাপতি প্রাণেশ দেবনাথ জানান, “শুক্রবার শামুকতলায় বড় হাট বসে। এলাকার কয়েক হাজার কৃষক এই রাস্তা দিয়ে কৃষি পণ্য আনা নেওয়া করেন। রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ায় নিয়মিত হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁদের। এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল ১১টি চা বাগান, ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ। অথচ এমন এক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মেরামতিতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল না কেন সেটা আশ্চর্যের।” তৃণমূল নেতা সুবল পণ্ডিত বলেন, “সিপিএম পরিচালিত জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ এলাকার উন্নয়নে কোনও কাজ করেনি। শীঘ্রই এই রাস্তা মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।” |