বিনা নোটিসে পেঁয়াজ বিক্রি ডিএম অফিস চত্বরে
রকারি ভাবে ৩৬ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসকের অফিস চত্বরে। তা-ও বিনা নোটিসে।
জেলা উদ্যান পালন ও খাদ্য প্রক্রিয়া করণ দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ক্রেতা পিছু ৫০০ গ্রাম করে মোট ৪০০ কিলোগ্রাম পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। এ দিন অফিসের ব্যস্ত সময়ে তমলুক জেলাশাসকের অফিস চত্বরে তা বিক্রি করা হয়। ক্রেতাদের সংখ্যাগরিষ্ঠই ছিলেন জেলাশাসকের অফিসের কর্মীরা ও বিভিন্ন কাজে ওই অফিসে আসা সাধারণ বাসিন্দারা। গোলমাল এড়াতে ছিল কড়া পুলিশ পাহারা।
তবে, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি সহায়ক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির জন্য জনবহুল স্থানের পরিবর্তে শুধুমাত্র জেলাশাসকের অফিসের চত্বরকে বেছে নেওয়া হল কেন? তা-ও আবার আগাম নোটিস ছাড়া?
সরকারি দরে পেঁয়াজ কিনতে লম্বা লাইন। —নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা উদ্যান পালন ও খাদ্য প্রক্রিয়া করণ আধিকারিক স্বপনকুমার শীট বলেন, “বিশৃঙ্খলা এড়াতে জেলাশাসকের অফিস চত্বরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে।” তাঁর যুক্তি, “ওখানে সরকারি কর্মী ছাড়াও অনেক সাধারণ মানুষ বিভিন্ন কাজে আসেন। তাঁদের সুবিধার্থেই এমনটা করা হয়েছে।” তিনি জানান, আগামী সোমবার ফের জেলাশাসকের অফিস চত্বরে ৪০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। কিন্তু, চাহিদার তুলনায় এই ৪০০ কিলোগ্রাম পেঁয়াজ তো অতি সামান্য। আরও কী ব্যবস্থা করা যেত না? এই প্রশ্নের সদুত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
এ দিন সরকারি মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে অফিস চত্বরে লম্বা লাইনে ছিলেন সরকারি কর্মী কালীপদ বর, মানস মাইতি, মাধবী জানারা। কালীপদবাবু বলেন, “খোলা বাজারে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তাই অফিসের সামনে সরকারি ভাবে ৩৬ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির কথা জানতে পেরে চলে এসেছি।” কিছুটা সাশ্রয়ের আশায় লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, ডিএম অফিসে নিজেদের কাজে আসা তমলুকের নিমতৌড়ি গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধূ রাধারানী হাইত ও তমলুক শহরের মানিকতলার বাসিন্দা তৃতীয় বর্ষের কলেজ ছাত্র প্রণয় মাইতি। প্রণয়ের কথায়, “শংসাপত্র নিতে ডিএম অফিসে এসেছিলাম। বাজারের থেকে অনেকটাই কম দামে এখানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দেখে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লাম। এমন সুযোগ কী হাতছাড়া করা যায়।”
জেলা উদ্যান পালন ও খাদ্য প্রক্রিয়া করণ আধিকারিক স্বপনবাবু জানান, “সরকার নির্ধারিত ৩৬ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির জন্য খোলাবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কেনা হয়েছে।” পরে তা দফতরের কর্মীদের দিয়ে বিক্রি করা হয়। অর্থাৎ, সরকারি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে প্রতি কেজিতে ১৪ টাকা সরকারি ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।
আফশোস, ভর্তুকিতে মেলা ওই পেঁয়াজ জেলার বেশিরভাগ লোকের নাগালের বাইরেই থেকে গেল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.