|
|
|
|
ময়দানে এলেন গোয়ান কোচ |
আর্মান্দোর প্রথম লক্ষ্য ডার্বি জয়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে তাঁর নামের পাশে সরকারি শিলমোহর পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের লক্ষ্য ঠিক করে ফেললেন আর্মান্দো কোলাসো। প্রথম লক্ষ্য ডার্বিতে জয়। দ্বিতীয় লক্ষ্য, লাল-হলুদকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করা।
গোয়ায় নতুন ইস্টবেঙ্গল কোচের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেও দিলেন সে কথা। “শুরুতেই ডার্বি জয়ের স্বাদ পেতে চাই। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করাই আমার প্রধান লক্ষ্য।”
বৃহস্পতিবার কোলাসোকে ফোন করে কোচ হওয়ার সুখবরটি দেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারাই। তারপর থেকেই চিডি-মোগা-সুয়োকাদের নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন পাঁচ বারের আই লিগ জয়ী কোচ। সোমবার রাতেই শহরে পৌঁছে যাবেন। মঙ্গলবার কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গল-জর্জ টেলিগ্রাফ ম্যাচ দেখার পর বুধবার থেকে চিডিদের নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়বেন ময়দানের প্রথম গোয়ান কোচ। বলছেন, “প্রথম কাজ ফুটবলারদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা করা। চিডি-মোগা ফর্মে নেই জানি। সুয়োকার চোট সেরে গেলেও কতটা ফিট হয়েছে সেটা দেখতে হবে। বাড়াতে হবে দলের একতা। ছোটখাটো কয়েকটা জায়গা শুধরোতে পারলেই এই ইস্টবেঙ্গল সবাইকে টেক্কা দেবে।”
মার্কোস ফালোপার ওপর আস্থা চলে যাওয়ার পর গোয়ায় আর্মান্দোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তাঁকে প্রাথমিক চুক্তিপত্রও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ তিন দিনে হঠাৎই লাল-হলুদ কোচ নির্বাচন অন্য দিকে মোড় নেয়। গোয়ার কোচের সঙ্গে ঢুকে পড়ে প্রাক্তন কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যানেরও নাম। ফুটবলারদের অনেকেও মর্গ্যানকেই কোচ হিসেবে চেয়েছিলেন। বুধবার পিয়ারলেস ম্যাচের পর সমর্থকরাও মর্গ্যানকে কোচ করার দাবি জানিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার দুপুরে আর্মান্দো কোলাসোর নামই সরকারিভাবে ঘোষণা করেন ক্লাবের ফুটবল-সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য।
|
|
আর্মান্দোকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে লাল-হলুদ ফুটবল সচিব বলছেন, “আর্মান্দোর সঙ্গে আমাদের অনেকদূর কথা এগিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ওঁকে বাদ দেওয়া সম্ভব ছিল না।” ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারও বললেন, “ফালোপা দল সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় মর্গ্যানকেই প্রথম ফোন করা হয়েছিল। তখন তিনি ছিলেন না। আমরা তাই মেসেজ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি পাল্টা যোগাযোগ করতে দু’তিন দিন লাগিয়ে দেন। তখনই বিকল্প হিসাবে আমরা আর্মান্দোর সঙ্গে কথা বলি। ট্রেভর যখন যোগাযোগ করে তখন অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিছু করার ছিল না।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “মর্গ্যান এই দলটাকে হাতের তালুর মতো চিনতেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের আহ্বান অবজ্ঞা করলে তা অসম্মানের। আর্মান্দো ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সফল কোচ। আশা করি ওঁর অসুবিধা হবে না।”
যদিও পুরো ঘটনায় হতাশ মর্গ্যান। ই-মেলের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে পারথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানাচ্ছেন, “ইস্টবেঙ্গল সচিবের সমর্থন আমি পাইনি, তাই কোচ হয়ে ফিরতে পারলাম না।”
আর্মান্দো কোচ হওয়ায় খুশি সদ্য বিদায়ী কোচ ফালোপাও। বুধবার তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, আর্মান্দোকে কোচ করার জন্য ক্লাবকে আমি বলেছি।” আর এ দিন বললেন, “ওঁর জন্য শুভেচ্ছা রইল।” ফালোপার আরও দশ দিন শহরে থাকার কথা। হয়তো যুবভারতীতে আর্মান্দোর প্রথম ডার্বি দেখেই তিনি ব্রাজিল ফিরবেন।
শেষ ২০০৩-০৪-এ জাতীয় লিগ (বর্তমান আই লিগ) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তার পর থেকে নয় বছর আই লিগ অধরা লাল-হলুদে। এখন দেখার, পাঁচ বারের আই লিগ জয়ী কোচের হাত ধরে ইস্টবেঙ্গলের অধরা স্বপ্ন সত্যি হয় কি না!
এ দিকে, ভারতীয় ফুটবলের প্রসারের জন্য দেশের যে সব জায়গায় ফুটবল খেলার চল নেই সেখানে খেলার জন্য ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। যদিও এ ব্যাপারে ফেডারেশন কিছু জানায়নি। |
পুরনো খবর: ফালোপার আরও সময় প্রাপ্য ছিল |
|
|
|
|
|