|
|
|
|
|
তেন্ডুলকর আবেগে
আপ্লুত রাষ্ট্রপতি নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
|
শুক্রবার ওয়াংখেড়ের পিচে সচিন তেন্ডুলকর যখন নতুন করে গার্ড নেবেন, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই মুম্বইয়ের মাটি ছোঁবে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বিশেষ বিমান। শেষ পর্যন্ত সকলকে বিস্মিত করে দিয়ে রাষ্ট্রপতির ওয়াংখেড়েতে উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনা তাঁর সচিবালয় অবশ্য খারিজ করছে। তবে সচিনের ২০০তম টেস্ট ম্যাচ খেলার প্রথম দিনটি আজ রাষ্ট্রপতি ভবনেও নিজেদের মতো করে পালিত হল। এবং রাষ্ট্রপতি শুধু তার সাক্ষী থাকলেন তা নয়, সচিনকে অভিনন্দনও জানালেন।
মাস্টার ব্লাস্টার সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি আজ বলেন, “দেশের যুব সমাজকে উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে সচিন হলেন এক জন আইকন। শুধু ওঁর রেকর্ড নয়, মাঠে ও মাঠের বাইরে সচিনের অমায়িক ব্যবহার নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।” তাঁর কথায়, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সচিনের অবসর নেওয়াকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে যে আবেগের স্রোত বইছে, তাতে আমিও সামিল হচ্ছি। তবে আশা রাখছি এর পরেও সচিন দেশ ও ক্রীড়ার সেবা করে যাবেন।”
দীর্ঘ ৭৭ বছরের জীবনে রাষ্ট্রপতি মাত্র একটিই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ দেখেছেন। তাঁর কথায়, সম্ভবত সেটা ১৯৮৫ সালে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে। তবে খেলায় উৎসাহ দিতে তিনি কখনওই পিছিয়ে থাকেননি। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের কর্মীদের আবদারেই কিছু দিন আগে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট এস্টেটের সর্বোদয় স্কুল মাঠে সেই টি-টেন (দশ ওভার করে খেলা) টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেছিলেন প্রণববাবু। টুর্নামেন্টে ছিল মোট চারটে টিম: প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারিয়েট অ্যাভেঞ্জার্স, হাউজহোল্ড রয়্যালস, দিল্লি পুলিশ চ্যালেঞ্জার্স এবং প্রেসিডেন্ট বডিগার্ড চার্জার্স। তার পর বেছে বেছে আজকের দিনটিতেই ফাইনাল খেলার আয়োজন করা হয়। ট্রফিটি জেতে হাউজহোল্ড চার্জার্স। রানার্স হয়েছে প্রেসিডেন্ট বডিগার্ড চার্জার্স। ফাইনাল ম্যাচের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই আজ সচিনের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি।
|
সচিন, তোমার জন্য |
অবসরের পর সচিন ক্রিকেটকে কতটা মিস করবে জানি না। তবে শুধু ভারতীয় ফ্যানরাই নয়, বিশ্বের সর্বত্র ক্রিকেট অনুরাগীরা ওর অভাব টের পাবে। সব থেকে বেশি মিস করবে প্রতিপক্ষ টিমগুলো, এত দিন ধরে যাদের প্রধান কাজই ছিল সচিনের জন্য গেমপ্ল্যান সাজানো। সচিনের কাছে এখন নানা প্রস্তাব আসবে। সবই দারুণ হতে বাধ্য। আমি অবশ্য ওকে বলেছি, বারোটা মাস নিজেকে সময় দাও। যে সময়টায় ও ভেবে বের করুক এর পর ঠিক কী করলে ও উপভোগ করবে। আমার ক্ষেত্রে সেটা ছিল তাস, পোকার খেলা। অবশ্য সচিনকে যতটুকু জানি, ও পোকার-এর থেকে ঢের বেশি সম্মানজনক কিছুই বেছে নেবে।
শেন ওয়ার্ন |
সচিন শুধু অসাধারণ ক্রিকেটারই নন, উনি গোটা বিশ্বের সামনে অতুলনীয় এক জন রোল মডেল। যতগুলো টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন, শুধুমাত্র সেই সংখ্যাটা ভাবলেই মাথা খারাপ লাগে! টিম স্পোর্টসে সচিনের মতো উদাহরণ থাকাটা বিরাট ব্যাপার। জীবনের দু’শোতম টেস্টে সচিনের জন্য আমার সমস্ত শুভেচ্ছা রইল।
ডেভিড ক্যামেরন |
‘শত্রু’-র উপহার। ছবি: উৎপল সরকার। |
প্লিজ সচিন রমেশ তেন্ডুলকরকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলাটা বন্ধ করুন— গত পঁচিশ বছর ধরে ও এক অলৌকিক জাদুবলে প্রতিটি ভারতীয় হৃদয়কে স্পর্শ করে চলেছে। অলৌকিক কাণ্ড বাস্তবিকই ঘটে!! সচিন একেবারে রক্ত-মাংসের তৈরি সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। আজ আমরা সেই মহান মহিলাকে দেখলাম চল্লিশ বছর আগে যিনি সচিনকে জন্ম দিয়েছিলেন শুধুমাত্র দেশের সেবা করার জন্য— সচিনের এক ইঞ্চিও অবিশ্বাস্য নয়!! বিষেণ সিংহ বেদী |
আমি সচিন ভক্ত। ধোনি টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সময় আমিও সবার মতো হতাশ হয়েছিলাম।
আমির খান |
কেন অবসর নিচ্ছ সচিন? ৩৮ ন.আ. এবং খেলছ ঈশ্বরের মতো...
মাইকেল ভন |
প্রায় গোটা ভারতই আজ রাতে খুব একটা শান্তিতে ঘুমোবে বলে মনে হয় না। সবার একটাই প্রার্থনা থাকবে। রাতটা খুব লম্বা হতে চলেছে।
সুনীল গাওস্কর |
দুর্দান্ত প্রতিপক্ষ, অসাধারণ সব স্মৃতি। ওর চেয়ে ভাল রোল মডেল আর কেউ হতে পারে না। তোমার শেষ ম্যাচটা উপভোগ করো। মাহেলা জয়বর্ধনে |
|
|
|
|
|
|