ভরসন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে এক প্রোমোটারকে ছুরি দিয়ে কোপাল দুষ্কৃতীরা। পালানোর সময়ে তারা ওই বাড়ির সামনে বোমাও ফাটায়। বুধবার শ্রীরামপুর স্টেশনের অদূরে ঝিলবাগান এলাকার ওই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। তপা পাঁজা নামে আহত প্রোমোটারকে বেল্টিং বাজার এলাকায় জিটি রোড সংলগ্ন একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি অবশ্য থানায় কারও বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।
তবে, বৃহস্পতিবার সকালে ছোট বেলু এলাকা থেকে অভিজিৎ দে ওরফে শানু এবং অভিজিৎ নাথ ওরফে হাবু নামে দুই দুষ্কৃতীকে গাঁজা-সমেত থেকে গ্রেফতার করেন শ্রীরামপুর থানার আইসি প্রিয়ব্রত বক্সি। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই দুষ্কৃতীই তোলা না পেয়ে প্রোমোটারের উপর চড়াও হয়েছিল। ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শ্রীরামপুর থানার আইসি-কে এ দিন স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝিলবাগানে একটি দোতলা বাড়িতে থাকেন তপাবাবু। বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দুই দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে ঢোকে। তপাবাবুর সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর পরেই ওই প্রোমোটারকে লক্ষ করে ছুরি চালায় দুষ্কৃতীরা। তপাবাবুর বাঁ হাতের কব্জি এবং ডান ঊরুতে ছুরি বসায় তারা। জখম অবস্থাতেই ওই প্রোমোটার চেঁচাতে থাকেন। বেগতিক বুঝে দুষ্কৃতীরা বাড়ির সামনে বোমা ছুড়ে পালায়। খবর পেয়ে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শানু এবং হাবু শ্রীরামপুরের দাগি সমাজবিরোধী সঞ্জয় দাস ওরফে শৈলর শাগরেদ। বৃহস্পতিবার সকালে একটি মোটরবাইকে চেপে ওই দু’জন বড়ার দিক থেকে শ্রীরামপুরের দিকে আসছিল। তাদের কাছ থেকে ২২ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। আটক করা হয়েছে মোটরবাইকটি। এ দিনই ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক দু’জনকেই ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন। |